আবদুল্লাহ আল মামুন
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ১৮২১ সালে সৃষ্ট অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলার নাম‘নোয়াখালী’। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান।
বৃহত্তর জেলা সিলেট ও বরিশাল এবং রংপুর বিভাগ হলেও প্রাচীন এই জেলাটিএখনও বিভাগ হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হচ্ছে নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক। প্রাচীন সমতট অঞ্চল যা বর্তমানে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা নামে পরিচিত, এই বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা অর্থাৎ নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ছয় জেলা নিয়ে চাই নোয়াখালী বিভাগ গঠন।
যেহেতু রাজধানী ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র ৯০ কিলোমিটার ও ফোর লেন সড়কে কুমিল্লা হতে ঢাকা যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘন্টা,এবং কুমিল্লার লোকজন রাজধানী ঢাকামুখী, সেহেতু কুমিল্লাকে বিভাগ করার কোন যুক্তি নেই। আর কুমিল্লা শহরটি মূলত ভৌগলিক ভাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাছাকাছি অবস্থিত তাই ভৌগলিক কারনেই কুমিল্লাকে বিভাগ করা যায়না।
বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার মধ্যখানে অবস্থিত নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ করা হলে এই বিভাগের আয়তন হবে ১৩,৩০২ বর্গ কিঃমিঃ, যাহা আয়তনে সিলেট ও বরিশাল বিভাগের চাইতেও বড় হবে। এই ছয় জেলা নিয়ে’নোয়াখালী বিভাগ’গঠিতহলে এ প্রস্তাবিত বিভাগের জনসংখ্যা হবে প্রায় পৌনে দুই কোটি যা সিলেট ও বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যার চেয়ে দুই গুনেরও বেশী। আর তাছাড়া ১৮৮৭ সালে যখন চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত হয় তখন বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিলমাত্র ২ কোটি ৯০ লাখ। আরএখন শুধু বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লার জনসংখ্যাই হচ্ছে পৌনে দুই কোটি। সুতরাং এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বিভাগীয় সেবা দিতে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা কে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠন অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ আদম শুমারী ২০১১ অনুসাওে বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যা মাত্র ৮৪ লক্ষ আর অথচ বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার জনসংখ্যা হচেছ ১ কোটি ৭০ লক্ষ, যা বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যার দিগুন। মাত্র চারটি জেলা নিয়ে সিলেটকে যেখানে বিভাগ করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি জেলানিয়ে’নোয়াখালী বিভাগ’গঠন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত এবং সময়োপযোগী দাবি বটে।
সুতরাং জনসংখ্যা ও আয়তন উভয় দিক বিচারে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লাকে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠন অত্যন্ত যুক্তিসংগত দাবী। আর তাতে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ খুব সহজে বিভাগীয় পর্যায়ের সেবা পেতে সক্ষম হবে। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ছয় জেলার মানুষকে বর্তমানে বিভাগীয় কাজকর্ম সারতে বহু কষ্ট এবং সময় ও অর্থ নষ্ট করে জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেক ভোগান্তি সহ্য কওে চট্টগ্রামে যেতে হয়, যা নিছক হয়রানি বটে। উল্লিখিত ছয় জেলাকে নিয়ে নোয়াখালীকে বিভাগ করা হলে এ ছয় জেলার দুই কোটি মানুষকে চাকরির পরীক্ষাসহ বিভাগীয় অন্যান্য কাজে বহু কষ্ট কওে সময় নষ্ট করে অর্থেও অপচয় ঘটিয়ে চট্টগ্রামে যেতে হবেনা।
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে জনগণের দোর গোড়ায় সরকারি, বেসরকারি তথ্য ও সেবা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া বা মাধ্যম সৃষ্টি করা। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়এবং তৃণমূলের জনগণের ক্ষমতায়ন ঘটে। আর এই অঞ্চলের তৃণমূলের মানুষের ক্ষমতায়নের জন্যই বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের জনগনের বর্তমান সময়ের দাবি হচ্ছে, প্রস্তাবিত নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠাকরা।
নোয়াখালীকে বিভাগ করা হলে অত্র উপকূলীয় অঞ্চল কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে বলে অত্র অঞ্চলের মানুষ মনে করে। পরিশেষে জনসেবার জন্য প্রশাসন এবং তৃণমূলের জনগণের দোরগোড়ায় প্রশাসনিক সেবা পোঁছাতে রাজধানী ঢাকা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুপ্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে উল্লিখিত ছয় জেলা নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ১৮২১ সালে সৃষ্ট অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলার নাম‘নোয়াখালী’। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান।
বৃহত্তর জেলা সিলেট ও বরিশাল এবং রংপুর বিভাগ হলেও প্রাচীন এই জেলাটিএখনও বিভাগ হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হচ্ছে নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক। প্রাচীন সমতট অঞ্চল যা বর্তমানে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা নামে পরিচিত, এই বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা অর্থাৎ নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ছয় জেলা নিয়ে চাই নোয়াখালী বিভাগ গঠন।
যেহেতু রাজধানী ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র ৯০ কিলোমিটার ও ফোর লেন সড়কে কুমিল্লা হতে ঢাকা যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘন্টা,এবং কুমিল্লার লোকজন রাজধানী ঢাকামুখী, সেহেতু কুমিল্লাকে বিভাগ করার কোন যুক্তি নেই। আর কুমিল্লা শহরটি মূলত ভৌগলিক ভাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাছাকাছি অবস্থিত তাই ভৌগলিক কারনেই কুমিল্লাকে বিভাগ করা যায়না।
বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার মধ্যখানে অবস্থিত নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ করা হলে এই বিভাগের আয়তন হবে ১৩,৩০২ বর্গ কিঃমিঃ, যাহা আয়তনে সিলেট ও বরিশাল বিভাগের চাইতেও বড় হবে। এই ছয় জেলা নিয়ে’নোয়াখালী বিভাগ’গঠিতহলে এ প্রস্তাবিত বিভাগের জনসংখ্যা হবে প্রায় পৌনে দুই কোটি যা সিলেট ও বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যার চেয়ে দুই গুনেরও বেশী। আর তাছাড়া ১৮৮৭ সালে যখন চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত হয় তখন বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিলমাত্র ২ কোটি ৯০ লাখ। আরএখন শুধু বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লার জনসংখ্যাই হচ্ছে পৌনে দুই কোটি। সুতরাং এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বিভাগীয় সেবা দিতে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা কে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠন অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ আদম শুমারী ২০১১ অনুসাওে বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যা মাত্র ৮৪ লক্ষ আর অথচ বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার জনসংখ্যা হচেছ ১ কোটি ৭০ লক্ষ, যা বরিশাল বিভাগের জনসংখ্যার দিগুন। মাত্র চারটি জেলা নিয়ে সিলেটকে যেখানে বিভাগ করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি জেলানিয়ে’নোয়াখালী বিভাগ’গঠন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত এবং সময়োপযোগী দাবি বটে।
সুতরাং জনসংখ্যা ও আয়তন উভয় দিক বিচারে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লাকে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠন অত্যন্ত যুক্তিসংগত দাবী। আর তাতে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ খুব সহজে বিভাগীয় পর্যায়ের সেবা পেতে সক্ষম হবে। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ছয় জেলার মানুষকে বর্তমানে বিভাগীয় কাজকর্ম সারতে বহু কষ্ট এবং সময় ও অর্থ নষ্ট করে জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেক ভোগান্তি সহ্য কওে চট্টগ্রামে যেতে হয়, যা নিছক হয়রানি বটে। উল্লিখিত ছয় জেলাকে নিয়ে নোয়াখালীকে বিভাগ করা হলে এ ছয় জেলার দুই কোটি মানুষকে চাকরির পরীক্ষাসহ বিভাগীয় অন্যান্য কাজে বহু কষ্ট কওে সময় নষ্ট করে অর্থেও অপচয় ঘটিয়ে চট্টগ্রামে যেতে হবেনা।
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে জনগণের দোর গোড়ায় সরকারি, বেসরকারি তথ্য ও সেবা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া বা মাধ্যম সৃষ্টি করা। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়এবং তৃণমূলের জনগণের ক্ষমতায়ন ঘটে। আর এই অঞ্চলের তৃণমূলের মানুষের ক্ষমতায়নের জন্যই বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের জনগনের বর্তমান সময়ের দাবি হচ্ছে, প্রস্তাবিত নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠাকরা।
নোয়াখালীকে বিভাগ করা হলে অত্র উপকূলীয় অঞ্চল কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে বলে অত্র অঞ্চলের মানুষ মনে করে। পরিশেষে জনসেবার জন্য প্রশাসন এবং তৃণমূলের জনগণের দোরগোড়ায় প্রশাসনিক সেবা পোঁছাতে রাজধানী ঢাকা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুপ্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে উল্লিখিত ছয় জেলা নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
- আবদুল্লাহ আল মামুন, উন্নয়ন গবেষক, মাইজদী, নোয়াখালী।