জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন- বাংলাদেশে বাঙ্গালী ও বাংলাদেশী এ দুই ধারার জাতীয়তাবাদী শক্তি রয়েছে। আর জাতীয় পার্টিই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি বলেন-আমার সরকারের সময় দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডাবাজি ও দখলবাজি ছিলনা। দব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল। তাই চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিমুক্ত বাংলাদেশ চাইলে আবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনুন। গতকাল রবিবার নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সালাহ্উদ্দিন আহমদের সভপতিত্বে জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক আ.ন.ম শাহজাহান, সহ-সভাপতি এন.আর মো: সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জেলা সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ বলেন-আমার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা জানেনা এরশাদের নাম কোটি মানুষের হৃদয়ে লেখা। আর কোটি মানুষের হৃদয়ে লেখা নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই। তাই তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন-খবরের কাগজে আমার সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। আমি নাকি কিছু না পেয়ে হতাশ। আমি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে কিছইু চাই না।
এরশাদ বলেন-জাতীয় পার্টির শাসনামলে এদেশে প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে। আমরা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছি, শুক্রবার ছুটির দিন করেছি, সমজিদের জন্য বিদ্যৎ বিল মওকুফ করে দিয়েছি।
নোয়াখালীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন-নোয়াখালী টিভি স্টেশন, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও চৌমুহনী সরকারি কলেজ এসবই আমার অবদান। নোয়াখালীর মানুষের প্রাণের দাবি একটি ক্যাডেট কলেজ। আমি জানি কেউ তা করবে না। আমি কথা দিলাম নির্বাচিত হলে তা করে দেব। তিনি বলেন-বিশ বছর আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নোয়াখালীতে এসে যে সমর্থন পেয়েছি এবার তার চেয়ে অনেক বেশি সমর্থন, সংবর্ধনা ও ভালবাসা পেয়েছি। এরচেয়ে বড় পাওয়ার কিছুই নেই।
জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন-দুই নেত্রী জনগণের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। উপজেলা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে তাদের ২০ বছর সময় লেগেছে। তিনি বলেন-বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, কারা আপনাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে আদমজী বন্ধ করেছে।
- আবু নাছের মঞ্জু