সর্বশেষ

প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় নোয়াখালীতে হতদরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে



গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় নোয়াখালীর জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়ে চলছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে জেলার উপক’লীয় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপ ও দুর্গম চরে বসবাসরত হতদরিদ্র মানুষগুলো। ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে লণ্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এসব এলাকার সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো একতো ঘরবাড়ি সবকিছু হায়িয়ে আধমরা হয়ে বেঁছে আছে। এরই মধ্যে প্রচণ্ড শীতের হানা তাদের কাছে এ যেন মরার উপর খাড়ার খাঁ।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীতে এ দ্বীপের কৃষি ও মৎস্যজীবী ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা দিয়ে ঠাণ্ডাজনিত নানা রকম রোগব্যাধী। ঘূর্ণিঝড় আইলার অনেকের ঘরবাড়ি বিধবস্ত হয়ে যাওয়ায় তারা এখন রেডক্রিসেন্টের দেয়া তাঁবুর নিচে কোনমতে জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে গভীর সাগরে জেলেদের ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতেও অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান এ দ্বীপের মিরাজ মাঝি। হাতিয়া, সুবর্নচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বয়ার চর, চর লঙ্গলিয়া, চর এলাহী, চর মজিদ, চর লেংকটা, চর বলুয়াসহ বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চল ও দ্বীপ এলাকার কয়েক লাখ হতদরিদ্র মানুষ প্রচণ্ড শীতে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। সদর উপজেলার কিল্লার চর, লালানগর ও দত্তের হাটের জেলে পাড়া, জেলা শহরের ভুলুয়া কলোনি, পূর্ব মহুদুরী খালপাড় বস্তি, সুইপার কলোনি, চৌমুহনীর মুচিপাড়াসহ বিভিন্ন বস্তি এলাকার মানুষ শীতে নানা রকম রোগে ভুগছে।

ঘন কুয়াশার কারণে সোনাপুর, মাইজদী, চৌমুহনী থেকে ঢাকা, চট্রগ্রামগামী ভোর বেলার বাস সার্ভিসগুলো বিলম্বে পৌচছে। হাতিয়ার সাথে সাথে জেলা সদরের সিট্রাক চলাচল ও হাতিয়া ঢাকা, চট্রগ্রাম লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাত শাখার শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তাদের অভিভাবকরা।

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.