সর্বশেষ

নোয়াখালী জিলা স্কুলসহ ২৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই

ভাষা আন্দোলনের ৫৮ বছর এবং স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও নোয়াখালী জিলা স্কুল সহ জেলার ২৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহান ভাষা আন্দোলন কিংবা অমর একুশে সম্পর্কে কিছুই জানেনা। জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্র জানায়, নোয়াখালীর জেলায় মাধ্যমিক, ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে ২৮৫টি বিদ্যালয় এবং কামেল, ফাজিল ও আলেম মিলিয়ে মোট ১৭৫টি মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসকে সামনে রেখে সাংবাদিকরা এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮৫টির মধ্যে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানে এবং ১৭৫টি মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও কোন শহীদ মিনার নেই।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা অমর একুশে, ভাষা আন্দোলন কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। জেলা ও উপজেলা সদর ছাড়া গ্রামাঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একুশে ফেব্রয়ারি বন্ধ থাকে। গ্রামাঞ্চলের যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলোও অযতœ অবহেলায় ভাংগাচুরা অবস্থায় পড়ে আছে।

২১ ফেব্র“য়ারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারনে এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দিবসটি পালন না করায় অধিকাংশ শহীদ মিনারে ২১ ফেব্র“য়ারি একটি ফুল দেয়ার কেহ থাকেনা । কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মাঝেমধ্যে ফুল দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন বা আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কোন আলোচনা সভাও হয়না। জেলার ১৭৫টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও কোন শহীদ মিনার নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ে ভাষা শহীদদের সম্পর্কে কোন অধ্যায় থাকলে সেটা পড়ানো হয় না। শহীদ মিনার সম্পর্কে মাদ্রাসা ছাত্রদের ধারনা দেয়া হয় এটা হিন্দুদের মোকট বা মুর্তি। শহীদ মিনারে ফুল দেয়া মানে মুর্তি পুজা করা। যে কারনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা একুশ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলতে চায় না। জেলা সদরের নোয়াখালী জিলা স্কুল, হরিনারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়, এম এ রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়, গার্লস একাডেমি, নোয়াখালী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, কেরামতিয়া আলীয়া মাদ্রাসা, ইসলামীয়া আলীয়া মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, তার সময়ে একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। 

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.