মতামত
আমাদের শহর ও দানবে হানা এবং একটি উন্নত হাসপাতালের আবেদন
হা বী ব ই ম ন
আমাদের প্রিয় শহর মাইজদী। জন্ম শহর মাইজদী। যে শহরটিকে জীবনের এতোটা বছর চিনে আসছিলাম, বড় আপন মনে করতাম, সেই শহরটিকে আজ বড্ড ধূসর মনে হয়। বড় অচেনা মনে হয়। বড় বেমানান একটা জেলা শহর মাইজদী। কোলাহলপূর্ণ একটি শহরটা আজ বিষময় হয়ে উঠেছে।
মতামত
করোনাভাইরাস: লক্ষণ, চিকিৎসা ও সুরক্ষার উপায় কী
লোকসংবাদ ডেস্কঃকরোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটিকে এখন বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
প্রধান পাতা
চলতি সংবাদ
কোম্পানীগঞ্জে দু’নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার গৃহহীন, বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন অব্যাহত
কোম্পানীগঞ্জে দু’নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার গৃহহীন, বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন অব্যাহত
মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহমান ছোট ফেণী নদী ও বামনীয়া নদীর ভয়াবহতায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ দু'নদীর ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গৃহহীন পরিবারগুলো ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধের আশে পাশে উঁচু স্থানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। গত কয়েক দিনে চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রাম এলাকায় ছোট ফেণী নদীর পাড় থেকে অন্তত পক্ষে ৫০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বেড়ীবাঁধ এবং রিং বাঁধ ভেঙ্গে লোনা পানি ভিতরে প্রবেশ করে শত শত একর জমির রবি শষ্য লোনা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বেড়ীর ভেতরের অনেকগুলো পুকুর এবং পুকুরের মাছ লোনা জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অসংখ্য গাছ-পালা উপড়ে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চরফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকায় চলতি অর্থ বছরে সদ্য নির্মিত বেড়ীবাঁধ বামনীয়া নদীর ভয়াবয়তায় ভেঙ্গে গেছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধটি নির্মাণ করে। রিং বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসকারী ২ শতাধিক পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা হাসনা-মওদুদ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৌদি সরকার নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার কাম কমিউনিটি স্কুল ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় আশংখায় উপজেলা প্রশাসন তা নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার একর আবাদী ফসলী জমি এবং ১৫টি মৎস্য খামার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ওই এলাকায় আশির দশকে নির্মিত দু’টি এরশাদ কলোনী নামে আশ্রয় প্রকল্প সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ১২০টি পরিবার এখন সরকারী রাস্তার পাশে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এবং বসবাসকারী মানুষের প্রাণের দাবী মুছাপুর রেগুলেটর দ্রুত উম্মুক্ত করে দেয়া এবং ক্লোজার ঘাট দিয়ে ক্রসবাঁধ নির্মান করে সন্দ্বীপের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করলে ভাঙ্গনের কবল থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাবে বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষে বিষয়টি গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে জানানো হলে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
সাম্প্রতিক
বৃহত্তর নোয়াখালীর তথ্যনির্ভর অনলাইন পত্রিকা লোকসংবাদ পড়ুন। লোকসংবাদে বিজ্ঞাপন দিন।
রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধূলা, ভ্রমণকাহিনী, গল্প, কবিতা, তথ্যপ্রযুক্তি, সমস্যা, সম্ভাবনা, দৃষ্টি নন্দন ছবি, ভিডিওচিত্র কিংবা বৃহত্তর নোয়াখালীর যে কোন বিষয়ে আপনার মতামত, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লোকসংবাদ পাঠকদের জন্য পাঠিয়ে দিন news@loksangbad.com ঠিকানায়।