নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বামনীয়া নদী ও ছোট ফেনী নদীতে ইলিশ মৌসুমকে সামনে রেখে জলদস্যুবাহিনীর লোকেরা ট্টলার যোগে মহড়া দিচ্ছে। ভয়ে আতঙ্কে দু’নদীর উপকূলীয় দূর্গম চরাঞ্চলের জেলেরা ইলিশ ধরতে নদীতে যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে ছোট ফেণী নদী উপকূলীয় এলাকা চরহাজারী মাছুয়া দোনা, মুছাপুর জেলে পাড়া, দক্ষিণ মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা, দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাট, চরএলাহী ক্লোজার ঘাট এলাকায় নতুন ট্টলার ও অচেনা লোকের আনাগোনা অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া গতকয়েকদির ধরে দূর্গম চরাঞ্চলের কৃষকদের খামার বাড়ী থেকে জলদুস্যূ বাহিনীর লোকেরা গরু মহিষ ও ভেড়া লুট করে ট্টলার যোগে চট্টগ্রামে মিরসরাই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।
প্রতি বছর ইলিশ মৌসুমে ট্টলারের মালিককেরা জেলেদেরকে আগাম দাদন দিয়ে মাছ শিকারে আসে বামনীয়া নদী ও ছোট ফেনী নদীতে। অজ্ঞাত লোকের আনাগোনার কারণে ট্টলারের মালিককেরা আতঙ্কে ইলিশ ধরা থেকে বিরত রয়েছে। বামনীয়া নদী ও ছোট ফেনী নদীতে কোষ্টগার্ড টহলে না আসায় জলদস্যু বাহিনীর তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে বলে জেলেরা অভিযোগ করেন। দুর্গম পথ ও যাতায়াতের অব্যবস্থাপনার কারণে পুলিশ সঠিক সময় ওই এলাকায় যেতে না পারায় জলদস্যু বাহিনীর লোকেরা নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলেছে। গত কয়েকদিনে পুলিশ দুর্গম এলাকায় জলদস্যু বাহিনীর নির্মুলে অভিযান চালিয়েছেন বলে দাবী করেছেন। পুলিশের এ অভিযানে জলদস্যুদের তৎপরতায় কোন প্রভাব পড়েনি। পুলিশের অভিযানের পূর্বে জলদস্যু বাহিনীর লোকেরা সংবাদ পেয়ে তাদের আস্তানা থেকে নিরাপদ স্থানে সরে পড়ে। পুলিশ টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পর নদীর জেলেদেরকে জলদস্যু বাহিনীর লোকেরা মারধর করে ইলিশ ধরা জাল, নদী থেকে ধরা মাছ, ট্রলার, নৌকাও সরঞ্জমাদি লুট নিয়ে যায়। দু’নদী এলাকায় জলদস্যু বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে প্রায় সাড়ে ৩হাজার জেলে পরিবার বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
- মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন