সর্বশেষ

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও খেলা দেখতে না পারায় হাতিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিক্ষব্ধ জনতার হামলা, ভাংচুর \ ৮টি জেনারেটরের মধ্যে ৬টি বিকল !

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও খেলা দেখতে না পারায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় উপজেলা সদর ওছখালীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলার পরপরই হাজার হাজার মানুষ নলচিরা-জাহাজমারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় আতংকে ওছখালীর ব্যবসায়ীরা  সকল দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় বিদ্যুৎ কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে গোটা হাতিয়ায় অন্ধকার নেমে আসে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে নয় টা) টায়ার ও খড়ে আগুন ধরিয়ে বিক্ষুব্ধ ফুটলপ্রেমীরা রাস্তায় অবস্থান করে।
এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৮টি জেনারেটরের মধ্যে ৬টিই বিকল থাকায় গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়না বলে বিদ্যুৎ বিভাগ দাবি করে। উদ্বুদ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বুধবার হাতিয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।

বিদ্যুৎ গ্রাহক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাতিয়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা গত একমাস ধরে খেলা চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ সরবাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি জানায়। শুক্রবার বিকাল থেকে হাতিয়ায় বিদুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে লোড শেডিং দেয়া হয়। রাত ৮টায় উদ্বোধনী খেলা শুরু হবার পরও লোড শেডিং চলতে থাকে। ফলে অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হয়। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ফুটবল প্রেমী জনতা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না করে হাতিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী থানায় আগাম জিডি করে পালিয়ে গেছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে তা দিয়ে রাত সোয়া নয় টার দিকে সরবরাহ চালু করে দেয়া হয়েছে।

এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রকৌশলী রফিক আহমেদ জানান, এখানকার ডিজেল চালিত ৮টি জেনারেটরের মধ্যে ৪টি দীর্ঘদিন ধরেই বিকল রয়েছে। বাকী দুটিও কিছুদিন আগে নষ্ট হয়ে যায়। অনেক দেনদরবার করে জেনারেটরগুলো সচল করা যাচ্ছে না। অথচ দ্বীপবাসী তোপের মুখে থাকতে হয় বিদ্যুৎকর্মীদের। তিনি জানান, এই কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে দুই হাজার কিলোওয়াট আর চাহিদা হচ্ছে ১৫’শ কিলোওয়াট। কিন্তু উৎপাদিত হচ্ছে আড়াইশ কিলোওয়াট। ফলে লোডশেডিং দিতেই হচ্ছে।

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.