সোমবার সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারি মুজিব কলেজে ছাত্রলীগ নেতা নোমান গ্রুপ সজলকে ভিডিও ফুটেজের জন্য দায়ী করে কলেজ ক্যাম্পাসে মারধর করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা সজল গ্রুপ সংগঠিত হয়ে নোমান গ্রুপের সাথে সংর্ঘর্ষ বেধে যায়। ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীরা দিকবেদিক ছুটাছুটি করে ক্যাম্পাস থেকে চলে যায়। এক পর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে খবর দিলে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মির্জা পুলিশ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় আবদুল কাদের মির্জা ছাত্রলীগ নেতা জাবেদ ও তারিনকে নিজ হাতে আটক করে পুলিশকে দেয়। পরে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান তারিনের অভিভাবকসহ থানায় গিয়ে মুসলেকা দিয়ে জিম্মায় চাড়িয়ে নেয়। জাবেদকে থানায় আটক করে রাখা হয়।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মির্জা জানান, মুজিব কলেজে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তিনি দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন। ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে শক্ত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এনিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সন্ধ্যায় উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু বলেন, ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মীরা ছাত্রলীগের সাথে থেকে কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করে ছাত্রলীগের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। বিষয়টি আমরা রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদেরকে অবহিত করবো।
#
- আবু নাছের মঞ্জু