মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন হাত থেকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলাকে রক্ষায় শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। আলোর দিগন্ত ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সাবেক এমপি সুপ্রীমকোর্ট সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবদুর রব চৌধুরী,
বানজ্যিক অডিট মহাপরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস শহিদ, বামাসপ সাবেক সভাপতি ও ডরপ সেক্রেটারী জেনারেল এএইচএম নোমান, লক্ষ্মীপুর বারের সভাপতি সৈয়দ মোঃ শামছুল আলম, আলোর দিগন্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজির আহমেদ, অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মানিক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ মোল্লা, একেএম আহমদ উল্যা, এএনএম আশরাফ উদ্দিন, সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির ব্যক্তিগত সহকারী একেএম আজিম প্রমুখ। মানবন্ধনকালে বক্তারা বলেন, গত দু’দশক ধরে মেঘনা নদী ভাঙছে। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে ৬৬৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রামগতি ও কমলনগরের প্রায় ১৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারি বেসরকারি শত শত কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১ লাখ মানুষ। একইসময় ৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৮০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২টি ডকইয়ার্ড, ৩০টি বরফকল, ৫৭টি মসজিদ, ৪২ টি স্কুল-মাদরাসা, ১৮টি হাটবাজারসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যায়। সরকারি ও বেসরকারি আরও অসংখ্য স্থাপনা বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। পরে একইদাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
- রবিউল ইসলাম খান