নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, বিকেল তিনটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে মোল্লাগ্রাম, মুন্সিগ্রাম, শতফুল গ্রাম ও আদর্শ গ্রামের অন্তত ৫০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় জোয়ারের তোড়ে ২০টি গরু-মহিষ ভেসে যায়।
নিঝুম দ্বীপ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান জানান, মোল্লা ও মুন্সিগ্রামের ওপর দিয়ে ২ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হারুন-অর-রশিদ জানান, ঘুর্ণিঝড়ে নিঝুম দ্বীপের ৬০ টির মতো কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে।
বজ্রপাতে এক ব্যক্তি ও পাঁচটি গরুর মৃত্যু: এদিকে রোববার বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলায় বজ্রপাতে আসাদুল হক (৬২) নামে ব্যক্তি ও পাঁচটি গরু মারা গেছে। নিহত আসাদুল হক চরবাটা গ্রামের হারিস আহম্মেদের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চর জব্বর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আসাদুল হক বিকেল পাঁচটার দিকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশে বাঁধা গরু আনতে যান। বজ্রপাতে পাঁচটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সময় আবুল কালাম সহ তার মারাত্মক আহত হন। গুরুতর অবস্থায় নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় রাত পৌনে ৮টায় আবুল কালামের মৃত্যু হয়।
- আবু নাছের মঞ্জু