এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুধীর রঞ্জন সাহা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডিস) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কাউসার নিয়াজী, জাসদ নেতা এডভোকেট আজিজুল হক বকশি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা এডভোকেট প্রবীর রঞ্জন মজুমদার, নোয়াখালী বারের সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট বাবুল কান্তি মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট শ্যামল কান্তি দে, জাতীয় যুবজোটের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাছের মঞ্জু, কবি জামাল হোসেন বিষাদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রুদ্র মাসুদ, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পক্ষে শংকর বিকাশ মজুমদার প্রমুখ।
বক্তারা অভিলম্বে রাজগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিও জানানো হয়। একই সাথে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে সহিংসতা ছড়ানোকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে সহিংসতাকে না বলুন, সকল ধর্মের নাগরিকদের সমাজ নিরাপত্তা চাই, সে নো টু ভায়োলেন্স প্রভৃতি শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও পেষ্টুন নিয়ে অংশগ্রহণকারীর মৌন মিছিল বের করে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর রায় ঘোষণার পরপরই বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জে ৮টি বাড়িতে ৩৬ পরিবারের ওপর হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরসহ সুযোগ সন্ধানী লুটেরা চক্র। এসময় ৩০টি ঘরে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া অন্তত ৪০টি ঘরে ভাংচুর ও লুটতারা চালায় তারা। একসই সময়ে ৬টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
#
- আবু নাছের মঞ্জু