লোকসংবাদ প্রতিবেদন
১৮ দলীয় জোটের ৪৮ ঘন্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জনকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে। দুপুর পৌনে বারটার দিকে মাইজদী পৌর বাজারে সামনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ নিষ্কিৃতি চাকমা ও কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মশিউর রহমানকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীরা।
ককটেলটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় তারা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান। এরপর পুলিশ টিআর সেল ও গুলি ছোঁড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় রায়হান ও মাসুদ নামে দুই ছাত্রদল কর্মীসহ কমপক্ষে ১০-১২জন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, অবরোধকারীদের ককটেল বিস্ফোরিত না হওয়া অল্পের জন্য তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা রক্ষা পেয়েছেন। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগান ও চাইনিজ রাইফেল থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
এর আগে সকাল দশটায় জেলা শহরের রশিদ কলোনী এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানের বাসার সমানের প্রধান সড়কে জেলা পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বসুরহাট মাকছুদা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইছহাক খন্দকার (৫০) ও আবদুল মান্নানকে (৩৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে ১৮ দলের কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
সকাল থেকে জেলা শহরের প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ সড়কে মিছিল বের করে অবরোধকারীরা। বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা সোনাপুর-মাইজদী ও মাইজদী- চৌমুহনী সড়কে গাছের গুড়ি, ইটের টুকরা ফেলে ও টায়ারে আগুণ দিয়ে যানবাহণ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা শাখার জেলা সভাপতি মো. শাহজাহান অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। এতে করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সে দায় পুলিশকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
এ ব্যপারে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীরা বিনা কারণে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানোতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে গুলি ও টিআর সেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
#
আবু নাছের মঞ্জু
২৭.১১.১৩
১৮ দলীয় জোটের ৪৮ ঘন্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জনকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে। দুপুর পৌনে বারটার দিকে মাইজদী পৌর বাজারে সামনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ নিষ্কিৃতি চাকমা ও কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মশিউর রহমানকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীরা।
ককটেলটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় তারা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান। এরপর পুলিশ টিআর সেল ও গুলি ছোঁড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় রায়হান ও মাসুদ নামে দুই ছাত্রদল কর্মীসহ কমপক্ষে ১০-১২জন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, অবরোধকারীদের ককটেল বিস্ফোরিত না হওয়া অল্পের জন্য তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা রক্ষা পেয়েছেন। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগান ও চাইনিজ রাইফেল থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
এর আগে সকাল দশটায় জেলা শহরের রশিদ কলোনী এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানের বাসার সমানের প্রধান সড়কে জেলা পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বসুরহাট মাকছুদা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইছহাক খন্দকার (৫০) ও আবদুল মান্নানকে (৩৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে ১৮ দলের কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
সকাল থেকে জেলা শহরের প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ সড়কে মিছিল বের করে অবরোধকারীরা। বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা সোনাপুর-মাইজদী ও মাইজদী- চৌমুহনী সড়কে গাছের গুড়ি, ইটের টুকরা ফেলে ও টায়ারে আগুণ দিয়ে যানবাহণ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা শাখার জেলা সভাপতি মো. শাহজাহান অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। এতে করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সে দায় পুলিশকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
এ ব্যপারে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীরা বিনা কারণে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানোতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে গুলি ও টিআর সেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
#
আবু নাছের মঞ্জু
২৭.১১.১৩