সর্বশেষ

হাতিয়ায় সাংসদের স্বামীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সরকার দলীয় সাংসদ আয়েশা ফেরদৌসের স্বামীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগগত্রে স্বাক্ষর আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী ফজলুল আজিম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. একরাম উদ্দিন স্থানীয় সাংসদ আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. একরাম উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত ১ এপ্রিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসকে কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর ২১ এপ্রিল সভাপতি আয়েশা ফেরদৌস কলেজ পরিদর্শনে আসেন। ওইদিন তিনি (অধ্যক্ষ) অসুস্থতাজনিত কারণে কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর সভাপতি ২৩ এপ্রিল গভর্নিংবডির জরুরী বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে তাঁর (অধ্যক্ষের) অনুপস্থিতিতে ইমামুল হোসেন নামের এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইমামুল হোসেন দায়িত্ব পেয়েই অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালার উপর আরেকটি তারা ঝুলিয়ে দেন।

একরাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৫ জুন তিনি সুস্থ্য হয়ে কলেজে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলে ইমাম উদ্দিন ফ্লুইড দিয়ে স্বাক্ষর মুছে ফেলে অনুপস্থিত লিখে দেন এবং উপরের নির্দেশ ছাড়া কলেজে না আসার জন্য বলেন। এরপর প্রতিদিন কলেজে গেলেও তাঁকে খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি এবং কক্ষে বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকি গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাঁর বেতনও বিল থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলযোগে একদল যুবক এসে ওছখালির মারকাজ মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে একরাম উদ্দিননকে তুলে ব্রিকফিল্ড এলাকায় মোহাম্মদ আলীর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁর কাছ থেকে পুর্বে টাইপকরা দুইটি পদত্যাগপত্র, তিনটি অলিখিত ষ্টাম্প, দুইটি কার্টিজ পেপার, দুইটি নিল কাগজ, কলেজের তিনটি প্যাড, ও ক্ষমা প্রার্থনার একটি পত্রে স্বাক্ষর আদায় করা হয়। এ সময় স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়া তাঁকে মারধর ও মাথায় পিস্তল ঠেকানো হয় বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ একরাম।

তিনি আরো জানান, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি এসব বিষয়ে থানায় জানানোর সাহস পাননি। পরে গত বুধবার জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। পুলিশ সুপার হাতিয়া থানাকে আইনগত সহায়তা করার নির্দেশ দেন।

এ ব্যপারে কথা বরার জন্যে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিগত ফোনে (১০৭১৭০৮০০১২)একাধিক বার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।


  • আবু নাছের মঞ্জু

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.