লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৪৬তম শহীদ জহুর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নোয়াখালী টাউন হলে আলোচনা সভা ও চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফ এর বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার উপ অধিনায়ক ও জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. মমিন উল্যা অ্যাডভোকেট।
জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, ডিপুটি কমান্ডার মমতাজুল করিম বাচ্চু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক জিপি কাজী মানছুরুল হক খসরু, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুস ছাত্তার ফরায়েজী বাবুল, শহীদ সাজেন্ট জহুরুল হকের চাচাতো বোন ফাতেমা হক।
বক্তারা বলেন- সার্জেন্ট জহুরুল হকের অবদানের পথ পরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। অথচ দীর্ঘ ৪৬ বছরেও তাঁর নিজ জেলা নোয়াখালীতে এই বীর শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সোনাপুর জেলা পরিষদ কলোনীতে অবস্থিত পৈত্রিক বাড়ির ঘরটিও ঝরাঝির্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সার্জেন্ট জহুরের স্মৃতি বিজিড়িত বাড়িটি সংরক্ষণ, শহীদ সার্জেন্ট শহুরের নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ ও জেলা শহরে এই বীরের ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা। আলোচনা সভায় নতুন প্রজম্মকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায় অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়। আলোচনা শেষে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার ও সনদন দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত : ১৯৩৫ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি নোয়াখালী শহরের সোনাপুরে জন্মগ্রহণ করেন সার্জেন্ট জহুরুল হক। ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ওই বছরই যোগ দেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে। পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে হন ফ্লাইট সার্জেন্ট। তৎকালীন পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুক্ত থাকায় ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হন জহুর। পাকিস্তান সরকার তখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য) দায়ের করেন। এই মামলার প্রধান আসামী করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন ১৭ নম্বর আসামি।
মামলার বিচারকার্য চলাকালে ৬৯’র ১৪ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যান্টমেন্টে বন্দি শিবিরের সামনে সৈনিকদের খাবারের উচিষ্ট সংগ্রহ করতে আসা শিশুদের অমানুষিক নির্যাতন করছিলো পাকিস্তানী সেনারা। এর প্রতিবাদ করেন বন্দি সার্জেন্ট জহুর। এনিয়ে হাবিলদার ‘মনজুর শাহ’র সাথে তাঁর বাকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে মনজুর শাহ রাইফেলে বেয়নেট লাগিয়ে ধেয়ে আসেন জহুরের দিকে। রাইফেলটি ছিনিয়ে নেন সাহসী জহুর, পরে তিনি সেটি আবার হাবিলদার মনজুরকে ফেরত দেন।
কিন্তু পরদিন ১৫ ফেব্র“য়ারি ভোরে সার্জেন্ট জহুর ঘর থেকে বের হলে মনজুর শাহ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন। পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি, এরপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয় তাকে। পরে দ্রুত তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ এ। ওই দিন রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সার্জেন্ট জহুরুল হক।
নোয়াখালীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৪৬তম শহীদ জহুর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নোয়াখালী টাউন হলে আলোচনা সভা ও চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফ এর বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার উপ অধিনায়ক ও জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. মমিন উল্যা অ্যাডভোকেট।
জহুর-ওদুদ স্মৃতি পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, ডিপুটি কমান্ডার মমতাজুল করিম বাচ্চু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক জিপি কাজী মানছুরুল হক খসরু, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুস ছাত্তার ফরায়েজী বাবুল, শহীদ সাজেন্ট জহুরুল হকের চাচাতো বোন ফাতেমা হক।
বক্তারা বলেন- সার্জেন্ট জহুরুল হকের অবদানের পথ পরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। অথচ দীর্ঘ ৪৬ বছরেও তাঁর নিজ জেলা নোয়াখালীতে এই বীর শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সোনাপুর জেলা পরিষদ কলোনীতে অবস্থিত পৈত্রিক বাড়ির ঘরটিও ঝরাঝির্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সার্জেন্ট জহুরের স্মৃতি বিজিড়িত বাড়িটি সংরক্ষণ, শহীদ সার্জেন্ট শহুরের নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ ও জেলা শহরে এই বীরের ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা। আলোচনা সভায় নতুন প্রজম্মকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায় অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়। আলোচনা শেষে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার ও সনদন দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত : ১৯৩৫ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি নোয়াখালী শহরের সোনাপুরে জন্মগ্রহণ করেন সার্জেন্ট জহুরুল হক। ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ওই বছরই যোগ দেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে। পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে হন ফ্লাইট সার্জেন্ট। তৎকালীন পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুক্ত থাকায় ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হন জহুর। পাকিস্তান সরকার তখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য) দায়ের করেন। এই মামলার প্রধান আসামী করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন ১৭ নম্বর আসামি।
মামলার বিচারকার্য চলাকালে ৬৯’র ১৪ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যান্টমেন্টে বন্দি শিবিরের সামনে সৈনিকদের খাবারের উচিষ্ট সংগ্রহ করতে আসা শিশুদের অমানুষিক নির্যাতন করছিলো পাকিস্তানী সেনারা। এর প্রতিবাদ করেন বন্দি সার্জেন্ট জহুর। এনিয়ে হাবিলদার ‘মনজুর শাহ’র সাথে তাঁর বাকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে মনজুর শাহ রাইফেলে বেয়নেট লাগিয়ে ধেয়ে আসেন জহুরের দিকে। রাইফেলটি ছিনিয়ে নেন সাহসী জহুর, পরে তিনি সেটি আবার হাবিলদার মনজুরকে ফেরত দেন।
কিন্তু পরদিন ১৫ ফেব্র“য়ারি ভোরে সার্জেন্ট জহুর ঘর থেকে বের হলে মনজুর শাহ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন। পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি, এরপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয় তাকে। পরে দ্রুত তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ এ। ওই দিন রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সার্জেন্ট জহুরুল হক।
- আবু নাছের মঞ্জু