লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন-বিএনপি নেতাদের কারো কারো বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য অজুহাত খুঁজতেছে। এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিলে তা বিএনপির জন্য আত্মঘাতি হবে।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রচার কাজে বাধা সৃস্টির অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন- ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বাঁধা সৃস্টি করছি না। এরপরও ৫ জানুয়ারির ভুলের পুর্নাবৃত্তি করতে গিয়ে তারা যদি আবার ভুলের চোরা বালিতে আটকে যায় সেটা তাতে আমাদের কিছু হবে না।’
তিনি আরো বলেন-‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করছি। ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে প্রচারে অসুবিধার সম্মুখিন হয়, তাহলে থাকলে নির্বাচন কমিশন যদি বলে যে সরকারি পক্ষের আরো সহযোগিতা দরকার, তাহলে আমরা অবশ্যই সে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডরীর এই সদস্য বলেন- এই সরকারের আমলে নয়টি সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে সাতটিতে জিতেছে বিএনপি। কিন্তু তখনও তারা একই অভিযোগ করেছে।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছোট ফেনী নদীর উপর ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেডের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসিফ আহমেদ আনসারী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক যতি দাস কুন্ড, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ছোট ফেনী নদীর উপর মুছাপুর ক্লোজার নির্মাণের ফলে নোয়াখালী ও ফেনী জেলার উপকূলীয় ব্যাপক এলাকা নদী ভাঙন থেকে রক্ষ্মা পাবে, জলাবদ্ধতা সিরসন হবে, সেচ সুবিধা সৃষ্টি হবে, লবনাক্ত পানি প্রবেশ রোধ হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। প্রকল্প এলাকায় শস্য নিবিড়তা ১৫৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ শতাংশে পৌঁছবো। এতে বার্ষিক অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১৩ মে. টন, যার উৎপাদন মূল্য ৪ কোটি ৯২ হাজার ২২ টাকা।