সুরঞ্জিত নাগ, ফেনী
টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত ফেনী সদর ও দাগনভূঁঞা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি গত তিন দিন অপরিবর্তিত রয়েছে। হাজারো মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ করা হলেও তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের অভিমত- তবে নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে গত কয়েক দিন থেকে উপজেলার সিন্দুরপুর ও রাজাপুর ইউনিয়ন প্লাবিত থেকে প্লাবিত। গত তিন দিন বন্যার পানি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
উপজেলার রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা অভিযোগ করেন, গত ৫ দিন তাঁর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। কিন্তু এলাকায় কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
দাগনভূঁঞা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ খোন্দকার জানান, গত মঙ্গলবার উপজেলার ৬৫০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, তার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম গত পাঁচ দিন পানিতে প্লাবিত। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংসদ নিজাম হাজারীর পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পানিতে আমনের চারা, আউশ ধান ও সবজি খেত তলীয়ে গেছে, পুকুর ও মৎস খামার ভেসে গেছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ফেনী, ফুলগাজী ও দাগনভূঁঞায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রান হিসাবে ১০ মেট্রিক টন করে ৩০ টন চার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামানিক বলেন, ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলে বেড়িবাঁধের ৫টি ভাঙ্গন স্থান মেরামত করা হবে। তিনি বলেন, নতুন করে বৃষ্টি না হলে জেলার সব অঞ্চলের পানি দ্রুত নেমে যাবে।
টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত ফেনী সদর ও দাগনভূঁঞা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি গত তিন দিন অপরিবর্তিত রয়েছে। হাজারো মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ করা হলেও তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের অভিমত- তবে নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে গত কয়েক দিন থেকে উপজেলার সিন্দুরপুর ও রাজাপুর ইউনিয়ন প্লাবিত থেকে প্লাবিত। গত তিন দিন বন্যার পানি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
উপজেলার রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা অভিযোগ করেন, গত ৫ দিন তাঁর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। কিন্তু এলাকায় কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
দাগনভূঁঞা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ খোন্দকার জানান, গত মঙ্গলবার উপজেলার ৬৫০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, তার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম গত পাঁচ দিন পানিতে প্লাবিত। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংসদ নিজাম হাজারীর পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পানিতে আমনের চারা, আউশ ধান ও সবজি খেত তলীয়ে গেছে, পুকুর ও মৎস খামার ভেসে গেছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ফেনী, ফুলগাজী ও দাগনভূঁঞায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রান হিসাবে ১০ মেট্রিক টন করে ৩০ টন চার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামানিক বলেন, ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলে বেড়িবাঁধের ৫টি ভাঙ্গন স্থান মেরামত করা হবে। তিনি বলেন, নতুন করে বৃষ্টি না হলে জেলার সব অঞ্চলের পানি দ্রুত নেমে যাবে।