আবু নাছের মঞ্জু:
জাতীয় সংসদে গত রোববার দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিল পাশের পর নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় এরই মধ্যে শহরজুড়ে স্থানীয় সাংসদের ছবিযুক্ত বিলবোর্ড স্থাপন আর বর্ণিল ডিজিটাল ব্যানার টানানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন একাধিক নেতা। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ কেউ আবার কার্যালয় খুলে বসেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ আবার নিজের অবস্থান জানান দিতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা আর সমাবেশও করছেন। তবে, পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন ঘোষণা না আসায় দলের স্থানীয় নেতারা তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের দিকে।
নোয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ আজাদ। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। সর্বশেষ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত জননেতা আবদুল মালেক উকিলের ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন লাতুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে হারুনুর রশিদ আজাদ যায়যায়দিনকে বলেন-‘ব্যক্তিগতভাবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পক্ষে। তবে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এ ব্যপারে বিএনপি’র দলীয় সিদ্ধান্তই আমার কাছে চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নিজের দল বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন-‘বিগত সময়ে আমি যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছি সেইসবের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে আগামীতেও পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’ শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রঞণ করলে নোয়াখালী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মো. হারুনুর রশিদ আজাদ ছাড়াও এই দল থেকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে শহর কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মহিদুল ইসলাম কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাছেরের নাম শোনা যাচ্ছে।
প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয় পাওয়ার আশায় কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন দৌঁড়ে রয়েছেন জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক একেএম শামছুদ্দিন জেহান, নোয়াখালী শহর কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম মন্টু ও রেজাউল হক বাহার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী সুনজেরে আসার জন্য নানা রকম চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংসদের সাথে নিজের ছবিযুক্ত বর্ণিল বিলবোর্ড স্থাপন আর সাংসদের সাথে নিজেদের ঘনিষ্ঠতার রিরিস্তি তুলে ধরছেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম শামছুদ্দিন জেহান জানান, তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল মালেক নোয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন কমিশনার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেনে। তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দল থেকে মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরসভার দীর্ঘদিনের নাগরিক সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কারাভোগ সহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও অবিচল ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয় পেলে সাংসদ একরামুলল করিম চৌধুরীর পরামর্শ ও সহযোগীতা নিয়ে একটি আধুনিক পৌরসভা উপহার দেবেন বলে জানান তিনি।
শহর আওয়ামী লীগের সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল জানান, তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সাফল্যের সাথে সংগঠনকে গতিশীল করেছেন। বর্তমানে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী শহরে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ একরামুল করিম চৌধরীর ঘোষণা অনুযায়ী তৃণমুল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হলে তিনি (সোহেল) শতভাগ আশাবাদী বলে দাবি করেন। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন এবং পৌরসভার জলাবদ্ধতা সমস্যা, রাস্তাঘাট সহ অবকাঠামোগত দীর্ঘদিনের স্থায়ী নাগরিক সমস্যা সমূহের দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে দলের জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর আলম চৌধুরী পারভেজ মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
জাতীয় সংসদে গত রোববার দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিল পাশের পর নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় এরই মধ্যে শহরজুড়ে স্থানীয় সাংসদের ছবিযুক্ত বিলবোর্ড স্থাপন আর বর্ণিল ডিজিটাল ব্যানার টানানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন একাধিক নেতা। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ কেউ আবার কার্যালয় খুলে বসেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ আবার নিজের অবস্থান জানান দিতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা আর সমাবেশও করছেন। তবে, পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন ঘোষণা না আসায় দলের স্থানীয় নেতারা তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের দিকে।
নোয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ আজাদ। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। সর্বশেষ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত জননেতা আবদুল মালেক উকিলের ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন লাতুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে হারুনুর রশিদ আজাদ যায়যায়দিনকে বলেন-‘ব্যক্তিগতভাবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পক্ষে। তবে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এ ব্যপারে বিএনপি’র দলীয় সিদ্ধান্তই আমার কাছে চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নিজের দল বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন-‘বিগত সময়ে আমি যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছি সেইসবের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে আগামীতেও পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’ শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রঞণ করলে নোয়াখালী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মো. হারুনুর রশিদ আজাদ ছাড়াও এই দল থেকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে শহর কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মহিদুল ইসলাম কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাছেরের নাম শোনা যাচ্ছে।
প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয় পাওয়ার আশায় কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন দৌঁড়ে রয়েছেন জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক একেএম শামছুদ্দিন জেহান, নোয়াখালী শহর কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম মন্টু ও রেজাউল হক বাহার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী সুনজেরে আসার জন্য নানা রকম চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংসদের সাথে নিজের ছবিযুক্ত বর্ণিল বিলবোর্ড স্থাপন আর সাংসদের সাথে নিজেদের ঘনিষ্ঠতার রিরিস্তি তুলে ধরছেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম শামছুদ্দিন জেহান জানান, তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল মালেক নোয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন কমিশনার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেনে। তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দল থেকে মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরসভার দীর্ঘদিনের নাগরিক সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কারাভোগ সহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও অবিচল ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয় পেলে সাংসদ একরামুলল করিম চৌধুরীর পরামর্শ ও সহযোগীতা নিয়ে একটি আধুনিক পৌরসভা উপহার দেবেন বলে জানান তিনি।
শহর আওয়ামী লীগের সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল জানান, তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সাফল্যের সাথে সংগঠনকে গতিশীল করেছেন। বর্তমানে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী শহরে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ একরামুল করিম চৌধরীর ঘোষণা অনুযায়ী তৃণমুল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হলে তিনি (সোহেল) শতভাগ আশাবাদী বলে দাবি করেন। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন এবং পৌরসভার জলাবদ্ধতা সমস্যা, রাস্তাঘাট সহ অবকাঠামোগত দীর্ঘদিনের স্থায়ী নাগরিক সমস্যা সমূহের দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে দলের জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর আলম চৌধুরী পারভেজ মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।