মতামত
আমাদের শহর ও দানবে হানা এবং একটি উন্নত হাসপাতালের আবেদন
হা বী ব ই ম ন
আমাদের প্রিয় শহর মাইজদী। জন্ম শহর মাইজদী। যে শহরটিকে জীবনের এতোটা বছর চিনে আসছিলাম, বড় আপন মনে করতাম, সেই শহরটিকে আজ বড্ড ধূসর মনে হয়। বড় অচেনা মনে হয়। বড় বেমানান একটা জেলা শহর মাইজদী। কোলাহলপূর্ণ একটি শহরটা আজ বিষময় হয়ে উঠেছে।
মতামত
করোনাভাইরাস: লক্ষণ, চিকিৎসা ও সুরক্ষার উপায় কী
লোকসংবাদ ডেস্কঃকরোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটিকে এখন বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
আজ নোয়াখালী মুক্ত দিবস
আবু নাছের মঞ্জু:
আজ ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে দখলদার পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোশরদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিলো অবিভক্ত নোয়াখালী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্থানী বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরৎ জওয়ানদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্থানী হানাদারেরা।
নোয়াখালী পিটিআই স্কুল এবং বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাটি গাড়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী। তাদের সাথে এদেশীয় রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্রজনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। কোম্পানীগঞ্জের বামনীর যুদ্ধ, বেগমগঞ্জের বগাদিয়াসহ অসংখ্য স্থানে হানাদারবাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এতে শহীদ হন শত শত বীরমুক্তিযোদ্ধা। শুধুমাত্র সোনাপুরের শ্রীপুরে পাকবাহিনী হত্যা করেছিলো শতাধিক ব্যক্তিকে।
ডিসেম্বরের শুরুতেই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত প্রান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানিদের পিছু হটিয়ে দেয়। ৬ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। ৭ডিসেম্বর প্রত্যুষে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং সি জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। অবস্থা বেগতিক দেখে পিটিআইর ট্রেণিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় খান সেনারা।
৭ ডিসেম্বরকে স্মরণে রাখতে নোয়াখালীর পিটিআই’র সামনে নির্মিত নোয়াখালী মুক্ত স্কয়ার নামের ক্ষুদ্র স্মৃতি স্তম্ভটি আজও অরক্ষিত থেকে গেছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নোয়াখালী মুক্তদিবসকে ঘিরে ঘষামাজা করা হয়েছে স্মৃতি সম্ভটি। অথচ স্বাধীনতার ৩৭ বছরেও ঐতিহাসিক এস্থানে নির্মিত হয়নি কোন স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। এদিকে বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে নোয়াখালী মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ সকাল ৯টায় নোয়াখালী মুক্ত স্কয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয় র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। নোয়াখালী মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আজ থেতে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মেলার প্রতিদিনের আয়োজনের মধ্যে থাকছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ, গণসংগীত ও শতাধিক ষ্টলে দেশীয় পণ্যের প্রদর্শন।
সাম্প্রতিক
বৃহত্তর নোয়াখালীর তথ্যনির্ভর অনলাইন পত্রিকা লোকসংবাদ পড়ুন। লোকসংবাদে বিজ্ঞাপন দিন।
রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধূলা, ভ্রমণকাহিনী, গল্প, কবিতা, তথ্যপ্রযুক্তি, সমস্যা, সম্ভাবনা, দৃষ্টি নন্দন ছবি, ভিডিওচিত্র কিংবা বৃহত্তর নোয়াখালীর যে কোন বিষয়ে আপনার মতামত, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লোকসংবাদ পাঠকদের জন্য পাঠিয়ে দিন news@loksangbad.com ঠিকানায়।