সর্বশেষ

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট অব্যাহত, অনঢ় অবস্থানে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ

নোয়াখালীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের লাগাতার ধর্মঘটের চতুর্থ দিনেও শ্রমিক ও মালিক পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে অনঢ় থাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৫ হাজারেরও বেশী অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। দৈনিক মালিক জমা কমানোসহ চার দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে। এরপর গত সোমবার মালিক পক্ষও শ্রমিকদের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে তাঁদের অটোরিকশা রাস্তায় না নামানোর ঘোষনা মাইকে প্রচার করে।
ধর্মঘটের ফলে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মত জেলার প্রধান বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীর বিভিন্ন রুট, সোনাইমুড়ী, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল ও সেনবাগের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পাঁচ হাজারের বেশী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে এসব রুটে যাতায়াতকারী যাত্রিদের দুর্ভোগ বর্তমানে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। সেনবাগ, সোনাইমুড়ী এলাকায় বিকল্প হিসেবে কিছু কিছু সিএনজি চালিত ম্যক্সি চলাচল করলে সেগুলো যাত্রিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

      আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা জানান, মালিকের দৈনিক জমা ৫শ টাকা থেকে ৩শ টাকায় কমিয়ে আনা; রাস্তার সকল খরচ (মবিলের টাকা, টোল ও বিভিন্ন চাঁদা) মালিক পক্ষ বহন করা; কোন শ্রমিককে ছাটাইয়ের ১৫দিন আগে জানানো; এবং মামলার খরচ মালিক বহন করার দাবিতে গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার ধর্মঘটের চুতর্থদিন অতিবাহিত হয়। নোয়াখালী জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি আবুল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার জানান, শ্রমিকেরা তাঁদের তাগিদেই ধর্মঘটে নেমেছেন। কারণ তাঁরা রাস্তায় বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হামলা-মামলার শিকার হন। মালিক পক্ষ ছাড় দিতে রাজি হলে তাঁরা এনিয়ে আলোচনায় বসতে চান। কিš মালিক পক্ষ তাঁদের দাবি পুরনের বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখানোর কারনে গত সোমবার রাতে জেলা শহরের শ্রমিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

      নোয়াখালী অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ জানান, শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করে অঘোষিতভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এটা খুবই অন্যায়। যারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য এ ধর্মঘট ডাকেনি। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই তাঁরা ধর্মঘটে নেমেছেন এবং রাস্তায় অটোরিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা মালিক পক্ষও ধর্মঘটে যেতে হয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রেজাউল করিম চন্দন জানান, মালিক পক্ষের ধর্মঘটের বিষয়টি তাদের বিবেচ্য নয়। শ্রমিকদের দাবিকে পাশ কাটানোর জন্যই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইতিমধ্যে স্ব স্ব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তাঁরা উভয়কে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করছেন।

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.