মতামত
আমাদের শহর ও দানবে হানা এবং একটি উন্নত হাসপাতালের আবেদন
হা বী ব ই ম ন
আমাদের প্রিয় শহর মাইজদী। জন্ম শহর মাইজদী। যে শহরটিকে জীবনের এতোটা বছর চিনে আসছিলাম, বড় আপন মনে করতাম, সেই শহরটিকে আজ বড্ড ধূসর মনে হয়। বড় অচেনা মনে হয়। বড় বেমানান একটা জেলা শহর মাইজদী। কোলাহলপূর্ণ একটি শহরটা আজ বিষময় হয়ে উঠেছে।
মতামত
করোনাভাইরাস: লক্ষণ, চিকিৎসা ও সুরক্ষার উপায় কী
লোকসংবাদ ডেস্কঃকরোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটিকে এখন বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে।
প্রধান পাতা
চলতি সংবাদ
নোবিপ্রবিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
নোবিপ্রবিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানানোর মধ্য দিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী ও ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মরণে উপস্থিত সকলে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর অনুষ্ঠিত হয় প্রভাতফেরি; এতে নগ্ন পায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রভাতফেরি শেষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন যথাক্রমে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ, ফার্মেসী বিভাগ, কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীবৃন্দ, নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা, নোবিপ্রবি বিজ্ঞান সংঘ, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীগণ, নোয়াখালী বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাংলাবাজারের নবদিগন্ত সংঘসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল থেকেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন। উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে প্রচার কেন্দ্র তৈরি করে অনুষ্ঠানের ধারা বর্ণনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয় মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ মমিনুল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাইনউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, এফআইএমএস বিভাগের প্রভাষক জনাব আবদুল্লাহ-আলঃ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের দাবি জানান। তারা বলেন, ভাষার বিকৃতির জন্য আমাদের পূর্বসূসীরা জীবন দেননি। বক্তাগণ প্রমিত ভাষা ব্যবহার এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করার আহবান জানান। এরপর শহীদ বেদিতে শিক্ষার্থীগণ একটি পথনাটক পরিবেশন করেন এবং ছোট্ট শিশু সঞ্চারী অধিকারী একুশের একটি কবিতা আবৃত্তি করে।
সকাল সাড়ে ১১টায় ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতার প্রথম সোপান’ বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে রচনা প্রতিযোগিতা-২০১০। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে ফার্মেসী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ফার্মেসী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফিরোজা বেগম এবং সিএসটিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাজহারুল ইসলাম মিঠু।
বিকেলে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলে শুরু হয় ‘অমর একুশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১০’ এর চূড়ান্ত পর্ব। ‘সর্বস্তরে মাতৃভাষার ব্যবহার সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পূর্বশর্ত’ বিষয়ের পক্ষে কৃষ্ণচূড়া এবং বিপক্ষে জবা দল বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। বিতর্কের পক্ষ দলে তানিয়া ফারহানা, মোঃ আরিফুর রহমান এবং অরিফুল আলম (দলনেতা) এবং বিপক্ষ দলে জহিরুল ইসলাম, রাশনাত মৌসুমী এবং এম শাহানুল ইসলাম (দলনেতা) অংশগ্রহণ করেন। এতে বিপক্ষ জবা দল বিজয়ী হয় এবং বিজয়ী দলের দলনেতা এম শাহানুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন। নোপ্রিবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর জনাব তারেক হাসান-আল-মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিসিই বিভাগের প্রভাষক জনাব মিঠুন সরকার, সিএসটিই বিভাগের প্রভাষক জনাব নাহিদ আক্তার এবং নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সহকারী মডারেটর জনাব আফসানা মৌসুমী। উপাচার্য অমর একুশে বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক, চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ী, রানার-আপ দল এবং অমর একুশে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ‘মাতৃভাষার অণুপ্রেরণায় যুক্তির লড়াই’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে NSTUDS এর উদ্যোগ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১০ হতে বারটি দল নিয়ে শুরু হয় এ অমর একুশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলসমূহ হলো জবা, গোলাপ, শিমুল, হাসনাহেনা, পলাশ, শিউলী, সন্ধ্যামালতী, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, পদ্ম, বেলী এবং রজনীগন্ধা। সর্বশেষ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সাম্প্রতিক
বৃহত্তর নোয়াখালীর তথ্যনির্ভর অনলাইন পত্রিকা লোকসংবাদ পড়ুন। লোকসংবাদে বিজ্ঞাপন দিন।
রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধূলা, ভ্রমণকাহিনী, গল্প, কবিতা, তথ্যপ্রযুক্তি, সমস্যা, সম্ভাবনা, দৃষ্টি নন্দন ছবি, ভিডিওচিত্র কিংবা বৃহত্তর নোয়াখালীর যে কোন বিষয়ে আপনার মতামত, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লোকসংবাদ পাঠকদের জন্য পাঠিয়ে দিন news@loksangbad.com ঠিকানায়।