কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদীর থেকে অবৈধ ভাবে ৪টি স্পটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী চক্র। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে নদী উপকূলীয় এলাকাগুলো অচিরে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এলাকাগুলো ছোটধলী গ্রাম, চরবালুয়া গ্রাম, দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রাম, পশ্চিম চরদরবেশ, চরএলাহীর ক্লোজারঘাট, চরহাজারীর মাছুয়াধোনা এলাকা, পূর্ব চরপার্বতী।
প্রতিদিন মূছাপুর ছোটধলী গ্রাম, ১১নং স্লুইস গেইট, চরহাজারী মাছুয়াধোনা, চরকচ্ছপিয়া বজলুর রহমানের খামার বাড়ী সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রভাবশলী মহল বালু উত্তোলন করছে। যারা বালু উত্তোলন করছে, তারা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কোন অনুমোদন নেয়নি। অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে নদী উপকূলীয় এলাকাগুলো ক্রমাননয়ে হুমকীর মুখে রয়েছে। প্রতিদিন প্রসাশনের নাকের ডগা দিয়ে শত শত বালুর ট্রাক কোম্পানীগঞ্জ, দাগনভুঞা, ফেনী, সোনাগাজী, সেনবাগ ও কবিরহাট এলাকায় পাচার হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, ফেনীর আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গির আদেলের কাছ থেকে ভুয়া কাগজ নিয়ে বাংলাবাজারের তৈল দোকানদার মিলন, বসুরহাট পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডের হক মেটালের হকসাব, সোনাগাজীর ডাক বাংলোর কেয়ার টেকার সেলিম ও স্থানীয় আ’লীগ পরিচয় নামধারী ১০/১২জন প্রভাবশালী নেতা এ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত রয়েছে।
নদী ভাঙ্গণ রোধে সরকার যেখানে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়ে মোটা অংকের অর্থ ব্যায় করছে, সেখানে দূর্বৃত্ত চক্রের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না। উপরোন্তু ভাঙ্গন রোধে ব্যায় করা অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিমত ব্যাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মুছাপুর এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য এক ব্যাক্তি নোয়খালী জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছে। বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোন সরকারীভাবে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানোয়ার হোসেন মোল্লাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
- মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন