টর্নেডো বিধ্বস্থ নোয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের ১০ হাজার গৃহারা মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেত চরম জীবন যাপন করছে। দুর্গত এলাকায় এখনো সরকারি বেসরকারিভাবে সাহায্য সহযোগীতা পৌঁছানো হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে দুর্গতরা এলাকায় ২৫ হাজার টাকা, ১০ মেট্রিকটন চাল ও ২৫টি তাবু বরাদ্ধ দেয়া হলেও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা চুড়ান্ত করতে না পারায় তা বিতরন করা হয়নি।
জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া ২ থেকে ৩ মিনিট স্থায়ী টর্নেডোর আঘাতে হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চরে ৫ জন নিহত, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীসহ তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এছাড়া তিনটি উপজেলার সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বির্ধ্বস্ত এবং হাজার হাজার গাছপালার ক্ষতি হয়।
চরতোরাব আলী রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকরাম হোসেন জানান, ঝড়ে স্কুলে আসার পথে এবং স্কুল আঙ্গিণায় থাকা আনুমানিক দেড়শ শিক্ষার্থীর বই-খাতা বিনষ্ট হয়। একারণে গতকাল ওই শিক্ষার্থীদের কেউই স্কুলে আসেনি। তিনি জানান, বই নষ্ট হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবার প্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার প্রতি ৫ কেজি করে চাল গতকাল দুপুর থেকে বিতরণ শুরু হয়। তবে; তাঁর এলাকার গৃহহারা পরিবারগুলোর জন্য তাবুর বরাদ্দ পাননি বলে জানান তিনি।
সুবর্ণচরের নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি বরাদ্দ পাওয়া পাঁচটন চাল বিতরণের ডিও দিয়ে দিয়েছেন। বিকেল থেকে বিতরণ শুরু হওয়ার কথা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বাড়িঘরের তালিকা তৈরী এখনো শেষ হয়নি বলে জানান ইউএনও।
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দুর্গম হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা স্থানীয়ভাবে এখনও চুড়ান্ত করা যায়নি। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছেন দ্রুত প্রয়োজনীয় সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
- আবু নাছের মঞ্জু