আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী সংবাদদাতা
ফেনীতে গোবর ব্যবহার হয় জ্বালানিতে এতে ধ্বংস হচ্ছে জৈব সার। ফেনীতে রয়েছে গবাদি পশুর বিশাল সম্ভাবনা। কৃষি কাজে গবাদি পশুর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। এছাড়া দুধের চাহিদা মেটাতেও একক পরিবারগুলোতে গাভি পালনের আগ্রহ দেখা যায়। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নজর না থাকায় এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে এ অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো গোবর থেকে সার তৈরি না করে তা শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
জেলা পশু সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, ছয় উপজেলা ও চরাঞ্চলে মোট ২ লাখ ২১ হাজার ৩১৫টি গরু, ২ হাজার ৫৮০টি মহিষ, প্রায় ৬৮ হাজার ৫৭৯টি ছাগল ও ২ হাজার ৯৩১টি ভেড়া পালন করা হচ্ছে। গরুগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০কেজি গোবর এবং মহিষ থেকে ৮-১০ কেজি গোবর পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে এসব গবাদি পশু থেকে বছরে প্রায় ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৫ কেজি গোবর পাওয়া যায়। গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলো গোবর শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
জেলা স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জমি তৈরির সময় গোবর সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে যেত। ফলে খাদ্যে সঠিক পুষ্টিমান বজায় থাকত ও রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। গ্রামের লোকজন এখনো গোবর শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। অথচ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এ অঞ্চলের কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে এ গোবরই পূরণ করতে পারে সারের বিশাল চাহিদা।
জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: আমীর হোসেন জানান, গবাদি পশুর গোবর বেশির ভাগ সার হিসেবে ব্যবহার হয় বলে দাবী করেন। তবে ক্ষেত-খামার ছাড়া ফিসারিজ ও বায়োগ্যাস প্লান্টে ব্যবহার হয়। তরে গ্রাম বা চরে যেখানে লাকড়ি পাওয়া দুস্কর সেখানে জ্বালানী হিসেবে গোবর ব্যবহার বেশি হয়।