সূত্রে জানাযায়, পশ্চিম সিরাজপুর গ্রামে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ১৫লক্ষ টাকা ব্যায়ে দূল্লুভ মিয়াজী জামে মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। সরকারী বরাদ্দ দেয়া অর্থে নির্মিত যে কোন স্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা জেলা প্রশাসকের মনোনীত সরকারের উপযুক্ত কর্মকর্তা এধরনের কাজের উদ্বোধন করার বিধি বিধান রয়েছে। কিন্তু একই এলাকার বাসিন্দা নোবিপ্রবি রেজিষ্ট্রার মমিনুল হক সম্পুর্ণভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিধি লঙ্গন করে ২৫জুন ২০১০ তারিখে মসজিদের নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন।
একই সাথে জেলা পরিষদ তাকে উদ্বোধন করার অনুমতি দিয়েছে বলে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজ নামে পাথরে খচিত ন্যামপ্লেট বানিয়ে স্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে শতাধিক ব্যাক্তি গণস্বাক্ষর দিয়ে মুসল্লীদের পক্ষে মোঃ আবদুল কাদের লিখিত ভাবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এতদ প্রেক্ষিতে স্মারক নং-নোজেপ/সাঃ/২০১০/৭৪৭ তারিখ-০৩/৮/২০১০ইং তারিখে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে কোন ক্ষমতা বলে নোবিপ্রবি‘র রেজিষ্ট্রার মমিনুল হক মসজিদ ভবন উদ্বোধন করেছেন, তা অবিলম্বে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। একই অভিযোগে বিক্ষুব্দ গ্রামবাসী শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিভাবে অবহিত করেছেন আবেদনকারী।
- মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন