আদালত সূত্রে জানাযায়, আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় আসামী রিকশা বেলাল, তার বোন রিনা আক্তার বৃষ্টি ও অপর সহযোগী রিপনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
আসামিদ্বয় ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর জেলার কবিরহাট উপজেলায় পদুয়া গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ রিক্সা বেলালের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি এলজি, ২ টি একনলা বন্দুক, ৯টি বন্দুকের কার্তুজ, ৮টি রাইফেলের গুলি ও দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দন্ডিত ৩ জন ছাড়া মামলার অপর ৩ আসামি বৃষ্টির স্বামী খোকন, বেলালের সহযোগী সুজন ও খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।
অপর মাদক দ্রব্য আইনে মামলায় গত ৩ মার্চ ঢাকা থেকে চাটখিলগামী বাসের যাত্রী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে জেলা মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আদালত মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামি রাজ্জাককে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন। দন্ডিত রাজ্জাক সোনাইমুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের অধিবাসী।
অপর চেক জালিয়াতির মামলায় চাটখিল উপজেলার বরাইপাড়া গ্রামের মৃত হাবিব উল্যার পুত্র তসলিমুর রহমান বিপ্লবকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৪ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। দন্ডিত আসামি বিপ্লবের কাছ থেকে একই এলাকার হারুনুর রশিদ ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৬ টাকা পাওনা ছিলেন। এ টাকা পরিশোধের জন্য আসামি বিপ্লবকে পাওনাদার হারুন চাপ দিলে বিপ্লব স্থানীয় ইসলামী ব্যাংকে তার একাউন্টের একটি চেক হারুনকে দেন। কিন্তু ওই একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় ব্যাংক কতৃপক্ষ চেকটি প্রত্যাখান করে।
#
- আবু নাছের মঞ্জু