এ ব্যাপারে নিঝুম দ্বীপের প্রশাসকি মেম্বার শাহেদ উদ্দিন, বয়ার চরের ভূমিহীন জসিম উদ্দিন, ক্যারিংচরের আবুল কালাম, নঙ্গলীয়ার চরের জহির উদ্দিন, ভূমিহীন বাজারের ইব্রাহীম, ঢালচরের ইউসূফ আলী ও ভুট্রোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘূর্ণিঝড় ‘গিরি’ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল ৫.৩০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা রেডক্রিসেন্ট অফিস খোলা পাওয়া যায়নি। তাদের পক্ষ থেকে কোন মাইকং কিংবা প্রচার প্রচারনার খবরও পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৫নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪নম্বর হুশিয়ারী সংকেত ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩নম্বর সতরর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বললেও হাতিয়া দ্বীপের চরাঞ্চলের ৩ লাখ মানুষ এ সংকেতগুলো সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক জরুরী সভা ডাকা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার সকল স্থানে মাইকিং করে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত জানিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা জানানো হয়নি বলে চরের ভূমিহীরা জানান।
উল্যেখ্য, ২০০৮ সালের ২৫ মে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত হানলে নোয়াখালীর উপক’লীয় চরাঞ্চলে প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া জলোচ্ছ্বাসেও এসব চরাঞ্চলের ৩ জন শিশু সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ হতাহতের কারণ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন প্রচার ও প্রচারণাকে চিহ্নিত করলেও এখন পর্যন্ত এসকল চরে কোন প্রচারণা হয়নি বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা ঘূর্ণিঝড় ‘গিরি’ সম্পর্কে মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। উপজেলা আবহাওয়া অফিসের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। গতকাল আমরা মাইকিং করে ওছখালীতে সতর্ক করেছি। কোথাও অনিয়ম হলে তা স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে হয়েছে।
- আবু নাছের মঞ্জু