নোয়াখালীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল, ছাত্র ও যুবলীগের মটর সাইকেলে মহড়া এবং পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিচার্জের মধ্যদিয়ে হরতাল পালিত হয়েছে।
পিকেটাররা ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত এবং তাদের ব্যবহৃত দু’টি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। অন্যদিকে হরতালের সমর্থনে পিকেটারদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস আহম্মদ উল্লা ওহাব (৩৮) কে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া গত শনিবার রাত থেকে পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩১ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে হরতালের সমর্থনে ছাত্র ও যুবদলের একটি মিছিল জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জামে মসজিদের সামনে গেলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। ধাওয়া খেয়ে পিকেটাররা জেলা জজ আদালতের পেছনের সড়কে অবস্থান নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ আহম্মদ উল্লা ওহাবকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানায় নিয়ে যায়। ১১টার দিকে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র হারুনুর রশীদ আজাদ, এডভোকেট আবদুর রহমান ও আবু নাছেরর নেতৃত্বে একটি মিছিল জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর পরপরই ছাত্র ও যুবলীগের কর্মীরা প্রধান সড়কে মটর সাইকেলে মহড়া দিতে থাকে।
দুপুর ১২টার দিকে সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা এলাকায় হরতাল বিরোধী মহড়া দেয়ার সময় পিকেটাররা ছাত্রলীগ কর্মীদের দু’টি মটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ মসময় পিকেটারদের ইটপাটকেলের আঘাতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়। তাদেরকে বজরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই পিকেটারকে আটক করে।
- আবু নাছের মঞ্জু