সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার কামাল উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তাঁদের সম্মানে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় উদয় সাদুর হাটে একত্রিত হন। জেলা সদরে রওনা দেয়ার আগে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বাজারের দোকানপাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি দেখতে বের হন। এ সময় চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংগ্লন চৌধুরীর চা দোকানে পতাকা না দেখে সদর উপজেলা সহকারি মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মাকছুদুর রহমান(৬৫) দোকানের মালিক চৌধুরীর বিষয়টি কাছে জানতে চান। এসময় চৌধুরী ঐ মুক্তিযোদ্ধাকে অকতথ্য ভাষায় গালিকালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে দোকানের ভেতর আটক করে রাখে। খবর পেয়ে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে চৌধুরী তার অপরাপ সহযোগী আবুল হাসেম, বাদশা, দেলোয়ার, সানু ও মিনুকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মমিন উল্লা(৬৫), নজির আহমদ(৬০), গোলাম মো. ফারুক(৬৫) ও সফি উদ্দিন(৬৫) কেও পিটিয়ে আটক করে রাখে।
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার কামাল উদ্দিন সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ধার করে। পরে তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা মাকছুদুর রহমান বাদী হয়ে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা মাকছুদুর রহমানের মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে রেকর্ড করা হয়েছে।
- আছু নাছের মঞ্জু