হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের সাথে আলাপকালে তাঁরা জানান, সাধারণত শ্রাবন, ভাদ্র ও আর্শ্বিন এই তিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। বয়ার চরের নুরুল হক মাঝি (৭০) জানান, গত ২০ দিন থেকে হাতিয়ার মেঘনায় গড়ে প্রায় ২/৩ হাজার মন ইলিশ ধরা পড়ছে।
তমরদ্দি, জাহাজমারা, নিঝুমদ্বীপ, বন্দরটিলা, সন্দীপ, ঢালচর, রামগতি, টাংকিঘাট, বোয়ালখালী ঘাট, চরলক্ষী ঘাট থেকে এইসব ইলিশ প্রতিদিন নৌ ও সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন মাছের আড়তে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
মাছ বেপারী হেঞ্জুমিয়া, জমিদার বেপারী, ও আলা উদ্দিন ব্যাপারী জানান, গত ২০ বছর থেকে তাঁরা মাছের ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু পৌষ মাসের এই সময়ে এত ইলিশ আগে আর কখনও তাঁরা দেখেননি। তাঁরা জানান, অনেক ঋণগ্রস্থ দেনাদার জেলে ও ব্যবসায়ী সময়ে ইলিশ পাওয়ায় দেনা পরিশোধ করতে পারছেন। চেয়ারম্যান ঘাট ও টাংকী ঘাটের ব্যবসায়ী জানান, মাছ বেশী লাগায় তাঁরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। আজাদ মাঝি জানান, এ বছর ভরা মৌসুমে ২৫/৩০ হাজার টাকা দামে প্রতি মন ইলিশ বিক্রি হলেও এখন তা ১০/১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এজন্য ঢাকা-চট্টগ্রামের মাছের গদির মালিক ও মাছ ফ্যাক্টরী মালিকদের দায়ী করেন।
সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুফি আহমেদ জানান, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর এক মাসে প্রায় ১১০ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে, যা এখনও অব্যাহত আছে। এই অসময়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় সরকারে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের ঝাটকা নিধন কার্যক্রম ও ১০ দিন মা ইলিশ ধরা নিষেধ কার্যক্রম সফল হওয়ায় অসময়ে এই ইলিশ ধরা পড়ছে।
- আবু নাছের মঞ্জু