নোয়াখালীতে তিনটি পৌরসভায় আওয়ামীলীগ এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া স্থগিত এক কেন্দ্র ছাড়া ঘোষিত ফলাফলে অন্য এক পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
জেলার সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শেষ পর্যন্ত সেনবাগ পৌরসভার সবগুলো কেন্দ্র ও নোয়াখালী পৌরসভার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মামুনুর রশীদ কিরণ (টেলিফোন প্রতীক) ১৪ হাজার ১৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির জুলফিকার আলী ভুট্টো (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন নয় হাজার ৬৩৮ ভোট।
বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের মীর্জা (আনারস) সাত হাজার ২৫০ ভাট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (দেয়াল ঘড়ি) পেয়েছেন চার হাজার ২৫০ ভোট।
চাটখিল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (আনারস) ছয় হাজার ১১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির মোস্তফা কামাল উদ্দিন (তালা) পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩৫ ভোট।
হাতিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ইউসুফ আলী (তালা) আট হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের অ্যাড. সাইফুদ্দিন আহম্মেদ (জাহাজ) পেয়েছেন ছয় হাজার ৭৪৩ ভোট।
কবিরহাট পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে আটটি ফলাফলে আওয়ামী লীগের জহিরুল হক রায়হান (দেয়াল ঘড়ি) এগিয়ে রয়েছেন। ঘোষিত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৭৪২ ভোট। বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম দুলাল (আনারস) পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ ভোট। এ পৌরসভার স্থগিত কেন্দ্রের ভোট সংখ্যা ১৩৩০। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের ভোট ব্যবধানের তুলনায় স্থগিত কেন্দ্রের ভোট বেশি হওয়ায় কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
নোয়াখালী পৌরসভার ২৫টি কেন্দ্রের স্থগিত ১৭ কেন্দ্র ছাড়া আটটি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের গোলাম মহিউদ্দিন লাতু (আনারস) এগিয়ে রয়েছেন। ঘোষিত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৪৮২। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির হারুনুর রশিদ আজাদ (দেয়াল ঘড়ি) দুই হাজার ৫৮১ ভোট।
- আবু নাছের মঞ্জু