নোয়াখালীতে বিএনপি’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় গাড়ি ভাংচুর, সড়ক অবরোধ, পুলিশের ধাওয়া ও বাড়িতে ঢুকে লোকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৩ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে পিকেটাররা সোনাপুর-মাইজদী সড়কের দত্তেরহাটে গাছের গুড়ি ফেলে এবং সোনাপুর ও ফকিরপুর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃস্টি করে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দত্তেরহাটে প্রধান সড়ক থেকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিকেটাররা পার্শ্ববর্তী গোপাই গ্রামে অবস্থান নেয়। এরপর পুলিশ সেদিকেও অগ্রসর হলে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঔই গ্রামের আবদুল বারেক মিয়ার বাড়িতে ডুকে বাড়ির চারটি ঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে বলে বাড়ির লোকজনের অভিযোগ। এসময় পুলিশের হামলায় ঔই বাড়ির সোহেলি আখতার(৩০) নামে এক অন্তসত্বা, বিবি কুলসুম মুক্তা(২০), এসএসসি পরীক্ষার্থী আসমা আক্তার(১৫) ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী পারুল বেগম(১৪) আহত হয়।
সোহেলি আখতারের মা অহিদা খাতুন(৫০) অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের বাড়িতে ডুকে তল্লাশির নামে পুরুষদের না পেয়ে নারী ও শিশুদের মারধর এবং গালিগালাজ করে।
তবে পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্যপারে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার জানান, কয়েকজন পিকেটার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় পিকেটাররা বাড়ির টিনের বেড়া ভাংচুর করে।
এদিকে সকাল ১০টায় সুবর্ণচরে পিকেটারদের হামলায় আবুল কাশেম(৫৬) নামে একব্যক্তি আহন হন। এসময় পিকেটাররা খাসেরহাট চৌরাস্তায় একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সসা ভাংচুর করে। হরতালে পিকেটিংসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ সুবর্ণচর উপজেলার সৈকত কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলাউদ্দিন সহ ৩ জনকে আটক করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনকালে বাড়িতে ডুকে নিরীহ নারী ও শিশুদের উপর পুলিশের হামলার অভিযোগ করে এ ঘটনার নিন্দা জানানা।
- আবু নাছের মঞ্জু