এদিকে সকাল থেকে উল্লেখিত বন্দকযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কোন প্রকার তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হলেও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই ব্যাপরে ই-মেইলে একটি প্রেসরিলিজ দেয়া হয়।
র্যাবের কুমিল্লা অফিস থেকে প্রেরিত নাম স্বাক্ষরহীন উক্ত প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয় যে, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-২, শাকতলা, কুমিল্লার নিয়মিত টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নোয়াখালী জেলার সুধারাম মধ্যকরিমপুর শিল্পনগরী এলাকায় আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সমবেত হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের টহল দল সাড়ে তিনটার সময় ঘটনাস্থলে পৌছাঁ মাত্রই ৮/১০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল অতর্কিতে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। র্যাব সদস্যগণ নিজেদের জান-মাল ও সরকারী মালামাল রক্ষার্থে ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। র্যাব সদস্যদের পাল্টা আক্রমনে ডাকাত দল পিছু হটে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫/২০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। গুলাগুলি শেষে স্থানীয় জনসাধারণ ও সুধারাম থানা পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ডাকাত দলের সদস্য মোঃ ফারুক(২২), নুর আলম বাচ্চু (৩৮) ও মঞ্জু মিয়া(৩২) কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং তাদের দখল হতে একটি কাঠের বাটসহ লম্বা অনুমান ২২ ইঞ্চি ছোরা, (২) একটি কাঠের বাট সহ লম্বা অনুমান ২৯ ইঞ্চি ছোরা, (৩) একটি লোহার রড লম্বা অনুমান ২৯ ইঞ্চি, (৪) একটি কাঠের বাট সহ লম্বা অনুমান ২৩ ইঞ্চি ছেন, (৫) একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান (এলজি) যাহা কাঠের বাট সহ লম্বা অনুমান ১৯ ইঞ্চি যাহার বাটের অংশ কালো রংয়ের স্কসটেপ দ্বারা মোড়ানো, (৬) একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান (এলজি) যাহা অনুমান ১১ ইঞ্চি লম্বা, (৭) একটি দেশীয় তৈরী চিকন তার দ্বারা বাঁধা রিভলবার সাদৃশ, (৮) একটি লাল ও হলুদ রংয়ের গঝঅ, (৯) নীল ও লাল রংয়ের ০৮টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। জখম প্রাপ্ত ডাকাতদেরকে স্থানীয় জনসাধারণ ও সুধারাম থানা পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় র্যাবের ০২ জন সদস্য আহত হয়। আহত র্যাব সদস্যদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
- আবু নাছের মঞ্জু