সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা সোমবার রাতে তাঁর কার্যালয়ে আদালত বসিয়ে এই দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষনার পর অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ওইদিন রাত দশটার দায়মুক্ত হন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের একজন সহকারী জানান, ডমুরুয়া ইউনিয়নের পাইথক গ্রামে ইব্রাহিম খলিলের দাখিল পরীক্ষার্থী মেয়ে শাহেনা আক্তারকে (১৫) গত ২৬ ফেব্র“য়ারি একই ইউনিয়নের ডমুরুয়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) এর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। গোপনে সম্পন্ন করা ওই বিয়েতে আইনী জটিলতা এড়াতে কাবিন রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার এলাকার লোকজন থেকে বিষয়টি অবহিত হন। এরপর নোটিশ দিয়ে তিনি বর ও কনের বাবা-মা, বিয়ে পড়ানোর মৌলভী এবং স্বাক্ষীসহ বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে হাজির করেন। রাতে সেখানে আদালত বসিয়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
আদালত কনের বাবা ইব্রাহিম খলিল ও মা মঞ্চুরা বেগমে প্রত্যেকের সাড়ে তিন হাজার টাকা করে, বরের বাবা কালা মিয়া, মা তঞ্জুবের নেছা ও বিয়ে পড়ানোর মৌলভী রফিকুল ইসলাম প্রত্যেকের তিন হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে প্রত্যেকের এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই আদালত বিয়ের স্বাক্ষী ফারুক আহম্মেদ, জালাল আহম্মেদ,দলিলুর রহমান ও আবদুল গোরফান প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এসময় আদালত মাদ্রাসা ছাত্রী শাহেনার পিতা ইব্রাহিম খলিলকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শাহেনার উপবৃত্তির গ্রহনকৃত সকল টাকা তিন দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাদান অন্যথায় তার (খলিলের) বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষনার পর অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ওইদিন রাত দশটার দায়মুক্ত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানান, আদালতে স্বাক্ষ প্রমাণ এবং অভিযুক্তদের স্বিকারোক্তিমুলক জবানবন্দির ভিত্তিতে অপরাধীদের সাজা দেয়া হয়।
- আবু নাছের মঞ্জু