এসময় র্যাবের দিলীপ বড়ুয়া ও সফিকুল ইসলাম নামে দুই হাবিলদার আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, একটি সাটারগান সহ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ১১ একটি টহল দল রোববার গভীর রাতে জানতে পারে যে, দক্ষিন মুছাপুরের মক্কা নগর এলাকায় দস্যু বাহিনী প্রধান টিপু তার বাহিনীর অপরারপর সদস্যসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে র্যাবের টহল দলটি রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারদিক থেকে ডাকাতদেরকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে টিপু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে য়ায়। তবে এরআগেই তার অপরাপর সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর আহত অবস্থায় টিপুকে সোমবার ভোরে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অন্যদিকে র্যাবের আহত দুই হাবিলদারকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওসি আরো জানান, এই ব্যাপারে র্যাব ১১ ডিএডি ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেও সরকারি কাজে বাধাদান ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
ময়না তদন্ত শেষে টিপুর লাশ কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানান।
নিহত টিপু দক্ষিণ মুছাপুরের ৭ নং ওয়ার্ডের জাহিদ মাওলানার বড় ছেলে।
নোয়াখালীর সহকারি পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিপুর বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ, সন্দীপ ও সোনাগাজী থানায় হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে ১১টি মামলা রয়েছে।
- আবু নাছের মঞ্জু