কবিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হয়; চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত ভোটকেন্দ্রটিতে গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩৩০জন।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) এবং পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, কবিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ভোট গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ হাযারী জানান, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন অফিসারসহ ৭৪ জন পুলিশ, ছয়জন করে বারজন পুরুষ ও নারী আনসার-বিডিপির সদস্য। এছাড়া র্যাব ১১ একটি টহল দল রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে দুপুর দুইটার দিকে কবিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গ্রহন স্থগিত করেন। এরপর রিটার্নিং অফিসার পৌরসভার মোট নয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ওই কেন্দ্রটি ছাড়া বাকি আটটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোঘনা করেন। ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জহিরুল হক রায়হান (দেয়াল ঘড়ি) ১৪৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৭৪২ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি’র ফখরুল ইসলাম দুলাল (আনারস) পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ ভোট। এই পৌরসভায় স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৩৩০ জন। এই অবস্থায় প্রতিদ্বন্ধী দুই মেয়র প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের তুলনায় স্থগিত কেন্দ্রের ভোট বেশি হওয়ায় কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। একই সাথে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারন কাউন্সিলর এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে কাউকে বিজয়ী ঘোষনা করা যায়নি।
প্রসঙ্গত: কবিরহাট, নোয়াখালী ও সেনবাগ এই তিনটি পৌরসভায় আওয়ামীলগী সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়-সহিংসতার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছিলেন। এসব অনিয়ম ও সহিংস ঘটনার পতিবাদে বিএনপি পুরো জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল।
- আবু নাছের মঞ্জু