সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসার ও কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: শরিফুল ইসলাম জানান, জহিরুল ইসলাম রায়হানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করা হযেছে। ঘোষিত ফলাফলে জহিরুল হক রায়হানের প্রাপ্ত মোটভোট ৪ হাজার ৬৫৪। আর ফখরুল ইসলাম দুলাল প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৭৫৩। ভোটের ব্যবধান ৯০১।
এদিকে, বিকেলে জেলা শহরের ফকিরপুর এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শাহজাহানের বাসভবনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফখরুল ইসলাম দুলাল সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, সকাল আটটায় ভোটগ্রহন শুরু হওয়ার পর পুলিশ কেন্দ্রের ভেতর থেকে তাঁর পুলিং বুথের প্রতিনিধি আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে।
দুলাল বলেন, ‘সকাল দশটার সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা আমাকে আমার স্ত্রী ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তাছলিমা আক্তারকে; সোয়া দশটার সময় আমার বাকি তিন পুলিং বুথের প্রতিনিধিকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে দশটার সময় নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে ভোট বন্ধ ও পুন ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে আবেদন করি।’
গত ১৮ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে দুপুর দুইটার দিকে কবিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গ্রহন স্থগিত করেন। এরপর রিটার্নিং অফিসার পৌরসভার মোট নয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ওই কেন্দ্রটি ছাড়া বাকি আটটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোঘনা করেন। ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জহিরুল হক রায়হান (দেয়াল ঘড়ি) ১৪৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৭৪২ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি’র ফখরুল ইসলাম দুলাল (আনারস) পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ ভোট। এই পৌরসভায় স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৩৩০ জন। এই অবস্থায় প্রতিদ্বন্ধী দুই মেয়র প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের তুলনায় স্থগিত কেন্দ্রের ভোট বেশি হওয়ায় কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। একই সাথে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারন কাউন্সিলর এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে কাউকে বিজয়ী ঘোষনা করা যায়নি।
প্রসঙ্গত: কবিরহাট, নোয়াখালী ও সেনবাগ এই তিনটি পৌরসভায় আওয়ামীলগী সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়-সহিংসতার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছিলেন। এসব অনিয়ম ও সহিংস ঘটনার পতিবাদে বিএনপি পুরো জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল।
- আবু নাছের মঞ্জু