প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ওহিদুল হকের পূণর্বহালের দাবিতে ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করে সকাল সাড়ে দশটা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
কামিল প্রথম বর্ষের ছাত্র বদরুল আলম জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইসহাক মজুমদার ও বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জহিরুল হকের ইন্ধনে ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অভিযোগে অধ্যক্ষ মো. ওহিদুল হককে বরখাস্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগের সত্যতা পাননি।
এ ব্যপাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. হানিফ জানান, অহিদুল হকের বিরুদ্ধে মাদ্রসার ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা আত্মসাত, অসদাচরন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ৫ সদস্যের অডিট কমিটি রিপোর্টেও এসবের সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু অডিট কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর থেকে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইসহাক মজুমদার বলেন, পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অমি দায়িত্ব পালন করছি। কাউকে বরখাস্ত করা না করা কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু ছাত্ররা আমাকে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।
সুধারাম থানার শহর উপ পরিদর্শক (টিএসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
- অবু নাছের মঞ্জু