তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবু জানান, কুরালিয়া গ্রামের বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, দ্বীপের শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জোয়ারে ভেসে গেছে দেড় শতাধিক গরু-মহিষ।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, ত্রাণ সামগী নিয়ে সকালে তিনি নিঝুম দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিকেল আগে তাদের পৌঁছা অনিশ্চিত।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন জানান, জোয়ারে চর এলাহী ইউনিয়নের নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় মৎস্য খামারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বিধস্থ হয়েছে ১০টি কাঁচা ঘর।
জেলা প্রশাসক সিরাজুল ইসলাম জানান, হাতিয়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ৩০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহবান করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, রেডক্রিসেন্টকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী রেডক্রিসেন্টের উপ পরিচালক আজরুদ্দিন সফদার জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের সাথে সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে নিঝুম দ্বীপ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কিন্তু ওই দ্বীপে রেডক্রিসেন্টের ওয়ারলেস সেটটি বিকল থাকায় সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নৃপেন্দ্র কুমার সরকার জানান, টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে জেলার নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়লেও তাতে কৃষির কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে সে হিসেব এখই নির্ণয় করা যাচ্ছেনা।
- আবু নাছের মঞ্জু