লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ও নোয়াগাঁও শনিবার রাতে দুর্ধষ পৃথক ২
টি ডাকাতি সংগঠিত হয়। মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল ৪ টি বসত ঘরে সবাইকে জিম্মি
করে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার,নগদ ৭০হাজার টাকা,৫টি মোবাইল সেটসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুটে
নিয়ে যাবার সময় হাজীপুর চৌধুরী বাড়ির হাজী তাজুল ইসলাম হাওলাদার(৯৫)কে শ্বাসরোধে হত্যা
এবং নোয়াগাও সীল বাড়ির ২ গৃহবধুর শ্লীলতাহানী করে। এ ব্যাপারে থানা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর হাজীপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে ডাকাতের হাতে নিহত তাজুল
ইসলামের বড় ছেলে রুহুল আমিন বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে ডাকাতরা ঘরের দরজা
ভেঙ্গে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে করে আলমারী ভেঙ্গে ২ ভরি স্বর্ণালংকার,নগদ ৪০ হাজার
টাকা,মোবাইল সেটসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। এ সময় গৃহকর্তা বৃদ্ধ হাজী তাজুল
ইসলাম হাওলাদার ডাকাতদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ডাকাতরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে নিয়ে
যায়।
বাড়ীর লোকজন ও স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে প্রচার করলে গ্রামবাসী
ছুটে আসে। বাড়ীর সুপারী বাগানে তাজুল ইসলামের হাত,পা বাধা লাশ দেখতে পায়।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা গভীর রাতে চৌধুরী বাড়ীতে
প্রবেশ করে ব্যাপক জিনিস পত্র লুট করে। যাওয়ার সময় বৃদ্ধা তাজুল ইসলামকে হত্যা করে লাশ সুপারী
বাগানের সাথে বেঁধে রাখে।
অপর দিকে নোয়াগাঁও সীল বাড়ির ডাঃ হিরালাল জানায়,অস্ত্রধারী মুখোশ পরা একদল ডাকাতরা
হিরালাল,মাখন লাল,নন্দ লালের বসত ঘরের সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে। মালামাল
তথ্যের সন্ধান দিতে দেরি হওয়া মাখনলালের ২ বছরের শিশু শুভ্রর মাথা কেরোসিন তৈল ঢেলে আগুন দিয়ে
হত্যার চেষ্টা চালায় ডাকাতরা। এসময় ২ গৃহবধুর শ্লীলতাহানীর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ভূইয়া পিপিএম বলেন, পুলিশ নিহত
ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামরা দায়ের করেন।
নোঁয়াগাও ডাকাতির ঘটনায় তিনি অবগত নন।
- রবিউল ইসলাম খান