নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের গৃহবধূ সালমা আক্তার ওরফে মুক্তার খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে একঘন্টা ধরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে নিহতের মায়ের স্বাক্ষরকরা একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০০৭ সালে একই উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মাকছুদুর রহমানের সঙ্গে সালাম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সালমার ওপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে গত বছরের শেষের দিকে স্বামী মাকছুদ সালমার পরিবারের কাছে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দাবি পুরণ না হওয়া নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
সালমার মা মোবাশ্বেরা বেগম জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে তাঁর মেয়ে সালমা প্রতিবেশি একজনের মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁদের বাড়ির ফোন করে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে চাপ দিচ্ছে এবং তাঁর উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাঁকে জানায়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দুপুর দুইটার দিকে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান এবং তাঁর শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে সালমার স্বামীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখনো সালমার খুনি স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী ছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে বর্তমানে তাঁদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য লোকজনের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছে, অন্যথায় আমাদের মেয়ের পরিনতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাই তিনি এই বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
- আবু নাছের মঞ্জু