সর্বশেষ

বীজ প্রতারণা বন্ধের দাবিতে নোয়াখালীতে কৃষক ও পেশাজীবীদের অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ

ভেজাল ও নিন্মমানের বীজ আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে আইন প্রণয়নের দাবিতে  বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশের আয়োজন করে। উন্নয়ন সংগঠন পার্টিসেপটরি রিসার্র্চ এন্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান), গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) ও কর্মজীবী নারী যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কৃষক ও পেশাজীবীদের অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে আগতরা বেলা ১১টা থেকে বিশাল মানববন্ধন রচনা করেন। এসময় প্রতারক বীজ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও- কৃষকের ক্ষতিপুরণ দাও; মুনাফাখোর বীজ কোম্পানির দোসরদের চিহিৃত কর- বিএডিসি ও কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত কর; বীজ নিয়ে বেনিয়াদের চক্রন্ত রুখে দাঁড়াও -কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও’ ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করে। ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে কৃষকদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,  আইনজীবী, উন্নয়ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করেন। এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজৃও সমিতির সভাপতি মজিবুল হক, কৃষাণী জেসমিন আক্তার, সাংবাদিক জামাল হোসেন, প্রানের নুরুল আলম মাসুদ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন,

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল বীজ ব্যবহার করে কৃষকদের প্রতারিত হওয়ার গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে। গতবছর এনার্জিপ্যাক এগ্রো লিমিটেডের হাইব্রিড ঝলক-১ ধানবীজ চাষ করে নোয়াখালী, গাজীপুর, বরিশাল, শেরপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায়; সিনজেনটার ভুট্টা বীজ চাষ করে চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে, রাজশাহীতে সবল-১ জাতের টমেটো বীজ এবং মেটাল এগ্রোর সারথি-১৪ চাষ করে বরিশাল ও নাটোরে হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমাদের বীজের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্র কিংবা কৃষকের হাতে না রেখে কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার কারণে কোন ধরণের জবাবহিদিতা কাজ করছে না। কৃষি মন্ত্রণালয় ১৯৯৩ সালে জাতীয় বীজনীতি ঘোষণা করে। এর আগে বাংলাদেশ বীজ অধ্যাদেশ ১৯৭৭, বীজ সংশোধন আইন ১৯৯৭, জাতীয় বীজ নীতিমালা ১৯৯৮ গৃহীত হয়। ২০০৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর উদ্ভিদজাত ও কৃষক অধিকার সংরক্ষণ অধ্যাদেশ নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। কিন্তু কোথায় ভেজাল বীজ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষকদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা না থাকায় কোম্পানিগুলো নানাভাবে বীজ প্রতারণার সুযোগ পাচ্ছে। আয়োজকরা বীজ প্রতারণা বন্ধে কৃষকস্বার্থবান্ধব আইন প্রণয়নের দাবি জানায়।

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.