শিক্ষককে জুতা মারর ঘটনার প্রতিবাদে রামভল্লবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।
|
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, নোয়াখালী জেলা সদরের দাদপুর ইউনিয়নের রামভল্লবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গত ২০ বছরের দখলীয় একটি দিঘি নিয়ে পার্শ্ববর্তী নূরনবী মাস্টারের ছেলে হাবিবুর রহমান মামুনের (৩২) সাথে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামুন নিজের জুতা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শের চৌধুরীর গায়ে নিক্ষেপ করেন। এরপর হট্টগোলের মধ্যে সাশিল শেষ হয়ে যায়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। শিক্ষককে জুতা মারার ঘটনার সুষ্টু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের তালা খোলা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যপারে রামভল্লবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শের চৌধুরী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের শালিসের মধ্যে মামুনের ঔধ্যত্বপূর্ন আচরণের বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাউন্সিল ও পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কিংবা শ্রেণীকক্ষে তালা দেয়ার সাথে শিক্ষকদের কোন সম্পিক্ততা নেই।
সোমবার বিদ্যালয়ে ক্লাস করানোর জন্য শিক্ষকরা আসলে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ ও শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া দেখতে পান। তবে; এ ঘটনায় আমরা ছাত্রছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সালিশে শিক্ষকে জুতা মারার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ অনেক আগ থেকে। আমি চেষ্টা করেছি বিষয়টি মীমাংসার জন্য।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী লুতফা চৌধুরী তিসি জানান, শিক্ষককে লাঞ্চিত করা ও বিদ্যালয়ে ভূমি দাবিদারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।