কারুপণ্য প্রদর্শণী পরিদর্শন করছেন অতিথিবৃন্দ |
বক্তারা দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন কারুপণ্যের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি, বাজার ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উত্পাদকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান উত্তরণ হস্তশিল্প কেন্দ্রের পরিচালক মুক্তা জানান, ছোট পরিসরে হলেও এমন একটি আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি আয়োজক প্রতিষ্ঠান এনআরডিএসকে অভিনন্দন জানান।
মেলায় আশা দর্শনার্থী শহীদুল ইসলাম মুকুল জানান, এমন আয়োজন বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। তাতে উদ্যোক্তরা আরও বেশি উত্সাহিত হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা, নিয়মিত মেলা আয়োজন ও উত্সাহিতকরণের জন্য সম্মানজনক পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে স্থানীয় কারুশিল্প আরও এগিয়ে যাবে।
মেলার আয়োজক এনআরডিএসের প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল জানান, কারুশিল্পর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা এবং এই শিল্পে সরাসরি নিয়োজিত কারুশিল্পীকে আরও কাছ থেকে দেখা সম্ভব হয়েছে। সেসব অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য তিনি সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্রদর্শনীতে ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার ১১টি হস্ত ও কারুপণ্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এতে তাঁতের তৈরি পোশাক, হাতের নকশিকাঁথা, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, হোগলা পাতায় তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র, মাটির তৈরি বিভিন্ন শোপিসসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পণ্য প্রদর্শনী করা হয়।