আটককৃত সদ্যুদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন: মহি উদ্দিন(৪০) হারুন(২৮), আলাউদ্দিন(৩০), সিরাজ(৩৭), শাহজাহান (৩৫), রিপন(৩২), মাকছুদ(৩৩), সিরাজ(৩২), ইরাক(৩৫), রহিম(৩৬), কাশেম(২৮), ইসরাফিল(৪০) ও কাঞ্চন (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে দমার চরের কাছে জলদস্যুরা মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির সময় স্থানীয় তদন্দ কেন্দ্রের পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তার হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশও অভিযানে যোগ দিলে দস্যুরা পূর্বদিকে সরে যায়। বিকেল ৫টার দিকে দস্যুরা নলচিরা ঘাটের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে যাওয়ার চেস্টা করে। খবর পেয়ে নলচিরা ফাঁড়ির পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশের সাথে দস্যুদের গোলাগুলি হয়।
ওসি জানান, আত্মরক্ষায় পুলিশ ৩৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলির এক পর্যায়ে দস্যুরা তাদের গুলি শেষ হয়ে গেলে নলচিরা ঘাটের পাশে বৌ বাজার এলাকা দিয়ে স্থলভাগে উঠে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। এ সময় দস্যুদের গুলিতে নলচিরা ঘাটের সুকুমার নামে এক ব্যক্তি আহত হন।
পরে পুলিশ দস্যুদের উপজেলা সদরে দিয়ে যায়। পরে পুলিশ পাহারায় আটককৃত দস্যুদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আটককৃত জলদস্যুদের বেশির ভাগ হাতিয়ার বাসিন্দা বলে জানান ওসি।
- আবু নাছের মঞ্জু