জেলা শহরের সোনাপুর-মাইজদী সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃস্টি করে পিকেটারার। সকালে দত্তেরহাট এলাকায় পুলিশ এবং পিকেটারদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শহরের নতুন বাসষ্টান্ড এলাকায় পিকেটাররা ককটেল বিস্ফোরণ করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া, নতুন বাজার, টেকের বাজার, ও কলেজ রোড এলাকায় পিকেটাররা একটি ট্রাক, একটি পি-আপ ও একটি সিএনচি চালিত অটোরিক্সায় আগুন দেয়। একই সময় পিকেটাররা সিএনচি চালিত ৫টি অটোরিক্সা ভাংচুর করে। সকাল থেকে এসব সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে পিকেটাররা।
কোম্পনীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, খুব ভোরে হরতাল সমর্থকরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে সরে পড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনী, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও চাটখিলে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃস্টির চেস্টা করে পিকেটাররা।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশীদ জানান, নাশকতা এড়াতে জেলার বিভিন্ন স্থানে র্যাব, পুলিশ ও বিজিপি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
- আবু নাছের মঞ্জু