তিনি শনিবার নোয়াখালীর রাজগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনি সহিংসতায় আক্রান্ত বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু এবং স্থানীয় মুসলমান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয় জনসাধারণের কাজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্যের বরাত দিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, রাজগঞ্জ বাজারে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ওয়াজ মাহফিলের অয়োজন করে। সেখান থেকে উস্কানী দেন ঢাকা থেকে আসা মাওলানা কাজী মো. ইব্রাহিম, ড. মহিউল ইসলাম এবং কুমিল্লা থেকে আসা আ ন ম মাঈদ উদ্দিন। তাঁরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন আর রায়ের পরই জামায়াত-বিএনপি কর্মীরা হিন্দুদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। পুরো ব্যাপারটার সাথে জড়িত জামায়াত ও বিএনপি। পুলিশ গুলি না করলে আরো বেশি সহিংসতা ঘটতো। তাছাড়া যে দু’জন মারা গেছে তাঁরা মিছিলের সামনে ছিলো।
এসময় তাঁর সাথে জাতীয় সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ, সম্পাদ কমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ মাহবুব রশিদসহ প্রতিনিধি দল বিভিন্ন জনের স্বাক্ষ্য নেন। এসময় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিনয় কিশোর রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান, মিথুন ভট্ট, বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙালী উপস্থিত ছিলেন।
- আবু নাছের মঞ্জু