২০১৫ সাল পরবর্তী বৈশ্বিক ও জাতীয় উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকারি প্যানেল’ (আইপিসিসি)-র প্রতিবেদনের বৈজ্ঞানিক তথ্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ সমাজ।
নোয়াখালী পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত দক্ষিণ-এশীয় জলবায়ু, কৃষি ও পানি বিষয়ক ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় চরিত্র চিত্রনের মাধ্যমে বিষাক্ত কার্বনমন গ্যাস, মিথেন গ্যাস ও নাইট্রেড অক্সাইড গ্যাস নি:সরণের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরা হয়।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান, অনলাইন নলেজ সেন্টার, হিউম্যানিটিওয়াচ এবং অক্সফামের বৈশ্বিক প্রচারাভিযান গ্রো’র উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী এই যুবক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পের কার্যক্রম। ক্যাম্পে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ৮০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেছেন।
আয়োজক সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান) এর প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ জানান, দক্ষিণ এশিয়ার ৬০ ভাগেরও বেশি জনগোষ্ঠী সরাসরি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক এবং ৪০ ভাগ মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করেন। কৃষি, গবাদিপশু, মৎস্যচাষ, গৃহস্থালি ও গ্রামীণ জীবনযাত্রার জন্য পানি অপরিহার্য্য। কিন্তু বন, পাহাড় ও ভূমির মতোই পানিসম্পদও ক্ষুদ্র উৎপাদকের কাছ থেকে দখল করে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় ৩৩ শতাংশ সাধারণ পানিসম্পদ প্রভাবশালী ব্যক্তি, দানবীয় প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার দখলে চলে গেছে। পানিদূষণ ও দখলের কারণে কৃষক ও জেলেসহ ক্ষুদ্র উৎপাদকরা পানির উপর তাদের প্রথাগত ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন এ ধরনের দখল ও দূষণ বাড়ছে এবং একই সঙ্গে বাড়ছে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অধিকার। ফলে, কোনো কর্মসূচি দ্বারাই সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না।
দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ নদীই কয়েকটি দেশের মধ্যে দিয়ে গেছে। উজান থেকে পানি প্রত্যাহার করা হলে তা সরাসরি ভাটির অধিবাসী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের উপর প্রভাব ফেলে। তাই উজানের গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) ও সিন্ধু অববাহিকায় অন্যায্যতার কারণে ভাটির দেশগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা, জলাবদ্ধতা ও পলিজনিত নদীভরাটের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদকদের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মূখীন। তাই অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক পরিকল্পনার বদলে অববাহিকাভিত্তিক পরিকল্পনা ও আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনা জরুরিভাবে দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৭ ভাগ তরুণ যারা আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষত সামাজিক সাইটগুলো ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী সফল আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তাঁদের এই শক্তিকে একত্রিত করা এবং ক্ষুদ্র প্রান্তিক উৎপাদকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণে নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করার জন্য এ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে।
ছবি ক্যাপশন: নোয়াখালীতে দক্ষিণ-এশীয় জলবায়ু, কৃষি ও পানি বিষয়ক ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারী তরুণদের ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ কর্মসূচি।
নোয়াখালী পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত দক্ষিণ-এশীয় জলবায়ু, কৃষি ও পানি বিষয়ক ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় চরিত্র চিত্রনের মাধ্যমে বিষাক্ত কার্বনমন গ্যাস, মিথেন গ্যাস ও নাইট্রেড অক্সাইড গ্যাস নি:সরণের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরা হয়।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান, অনলাইন নলেজ সেন্টার, হিউম্যানিটিওয়াচ এবং অক্সফামের বৈশ্বিক প্রচারাভিযান গ্রো’র উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী এই যুবক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পের কার্যক্রম। ক্যাম্পে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ৮০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেছেন।
আয়োজক সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান) এর প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ জানান, দক্ষিণ এশিয়ার ৬০ ভাগেরও বেশি জনগোষ্ঠী সরাসরি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক এবং ৪০ ভাগ মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করেন। কৃষি, গবাদিপশু, মৎস্যচাষ, গৃহস্থালি ও গ্রামীণ জীবনযাত্রার জন্য পানি অপরিহার্য্য। কিন্তু বন, পাহাড় ও ভূমির মতোই পানিসম্পদও ক্ষুদ্র উৎপাদকের কাছ থেকে দখল করে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় ৩৩ শতাংশ সাধারণ পানিসম্পদ প্রভাবশালী ব্যক্তি, দানবীয় প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার দখলে চলে গেছে। পানিদূষণ ও দখলের কারণে কৃষক ও জেলেসহ ক্ষুদ্র উৎপাদকরা পানির উপর তাদের প্রথাগত ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন এ ধরনের দখল ও দূষণ বাড়ছে এবং একই সঙ্গে বাড়ছে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অধিকার। ফলে, কোনো কর্মসূচি দ্বারাই সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না।
দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ নদীই কয়েকটি দেশের মধ্যে দিয়ে গেছে। উজান থেকে পানি প্রত্যাহার করা হলে তা সরাসরি ভাটির অধিবাসী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের উপর প্রভাব ফেলে। তাই উজানের গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) ও সিন্ধু অববাহিকায় অন্যায্যতার কারণে ভাটির দেশগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা, জলাবদ্ধতা ও পলিজনিত নদীভরাটের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদকদের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মূখীন। তাই অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক পরিকল্পনার বদলে অববাহিকাভিত্তিক পরিকল্পনা ও আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনা জরুরিভাবে দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৭ ভাগ তরুণ যারা আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষত সামাজিক সাইটগুলো ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী সফল আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তাঁদের এই শক্তিকে একত্রিত করা এবং ক্ষুদ্র প্রান্তিক উৎপাদকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণে নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করার জন্য এ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে।
ছবি ক্যাপশন: নোয়াখালীতে দক্ষিণ-এশীয় জলবায়ু, কৃষি ও পানি বিষয়ক ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারী তরুণদের ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ কর্মসূচি।
- আবু নাছের মঞ্জু