লোকসংবাদ প্রতিবেদন
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের খবরে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর সহ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নিহত হয়েছে এক ব্যক্তি। বেগমগঞ্জের আপানিয়া বাজারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সড়ক অবরোধকারীদের সংঘর্ষে খোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ সময় ইমাম ইদ্দিন(৪০) নামে আরো একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুক্রবার রাত দুইটার দিকে বিক্ষুদ্ধ জামায়াত শিবিরের কর্মীরা বেগমগঞ্জের আপানিয়া বাজার এলাকায় চাটখিল-সোনাইমুড়ি সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে। এ সময় টহলরত র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে চটপটি বিক্রেতা খোরশেদ আলম ও রিক্সাচালক ইমাম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। ভোরে খোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়। নিহত খোরশেদ আলমের বাড়ি সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। গুলিবিদ্ধ ইমাম উদ্দিনকে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামে।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, গভীর রাতে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে অবরোধকারীদের সংর্ঘের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন মৃত্যু কিংবা গুলিব্ধি হওয়ার খবর তার জানা নেই।
সেনবাগে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়ির ফটকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তবে, হামলায় বাড়ির কোন ক্ষতি হয়নি। সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, রাত একটার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনের ফটক লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষে করে। এ সময় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ গুলি ছুঁড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ হামলাকারীদের পেলে যাওয়া দুইটি পরিত্যক্ত পেট্রোল বোমা, একটি হকিষ্টিক এবং পেট্রোলসহ কিছু সরাঞ্জম উদ্ধার করে।
একই রাতে সেনবাগ বাজারে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসমত উল্লা চৌধুরীর বাসায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। হামলায় মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্লা (৬০) গুরুতর আহত হলে তাঁকে স্থানীয় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিচারপতির বাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৫টি গুলি নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার সকালে সেনবাগ উপজেলা সদরে কাদের মোল্লার গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত শিবির কর্মীরা কুপিয়ে আহত করে কাদরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আবদুল হাইকে। এ সময় তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় আবদুল হাইকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে ফেনী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোহেল জানান, আবদুল হাইয়ের ডান হাতের কব্জির নিজের অংশ এবং ডান পায়ের নিচের গোড়ালির নিচের অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, চর হাজারী ইউনয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকান ভাংচুর ও বসুরহাট-চাপচাশিরহাট সড়ক কেটে দেয়া হয়। বেমগঞ্জের গোপালপুর বাজারে ২৫টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের খবরে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর সহ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নিহত হয়েছে এক ব্যক্তি। বেগমগঞ্জের আপানিয়া বাজারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সড়ক অবরোধকারীদের সংঘর্ষে খোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ সময় ইমাম ইদ্দিন(৪০) নামে আরো একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুক্রবার রাত দুইটার দিকে বিক্ষুদ্ধ জামায়াত শিবিরের কর্মীরা বেগমগঞ্জের আপানিয়া বাজার এলাকায় চাটখিল-সোনাইমুড়ি সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে। এ সময় টহলরত র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে চটপটি বিক্রেতা খোরশেদ আলম ও রিক্সাচালক ইমাম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। ভোরে খোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়। নিহত খোরশেদ আলমের বাড়ি সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। গুলিবিদ্ধ ইমাম উদ্দিনকে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামে।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, গভীর রাতে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে অবরোধকারীদের সংর্ঘের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন মৃত্যু কিংবা গুলিব্ধি হওয়ার খবর তার জানা নেই।
সেনবাগে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়ির ফটকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তবে, হামলায় বাড়ির কোন ক্ষতি হয়নি। সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, রাত একটার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনের ফটক লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষে করে। এ সময় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ গুলি ছুঁড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ হামলাকারীদের পেলে যাওয়া দুইটি পরিত্যক্ত পেট্রোল বোমা, একটি হকিষ্টিক এবং পেট্রোলসহ কিছু সরাঞ্জম উদ্ধার করে।
একই রাতে সেনবাগ বাজারে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসমত উল্লা চৌধুরীর বাসায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। হামলায় মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্লা (৬০) গুরুতর আহত হলে তাঁকে স্থানীয় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিচারপতির বাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৫টি গুলি নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার সকালে সেনবাগ উপজেলা সদরে কাদের মোল্লার গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত শিবির কর্মীরা কুপিয়ে আহত করে কাদরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আবদুল হাইকে। এ সময় তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় আবদুল হাইকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে ফেনী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোহেল জানান, আবদুল হাইয়ের ডান হাতের কব্জির নিজের অংশ এবং ডান পায়ের নিচের গোড়ালির নিচের অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, চর হাজারী ইউনয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকান ভাংচুর ও বসুরহাট-চাপচাশিরহাট সড়ক কেটে দেয়া হয়। বেমগঞ্জের গোপালপুর বাজারে ২৫টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।
- আবু নাছের মঞ্জু