সর্বশেষ

নোয়াখালীর কবিরহাট থানায় হামলা, পুলিশের সাথে যুবলীগ ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১৩, ৪০ রাউন্ড গুলি

লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে আটকে রাখার খবরে থানায় হামলা ভাংচুর চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই হামলা ভাংচুরের ঘটনা চলে। এ সময় পুলিশের তিন কনষ্টেবল সহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শর্টগান থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান মদ্যপ অবস্থায় থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাথে দুব্যহার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে থানায় আটক রাখা হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে নিজের লোকজনকে খবর দেন। এই খবরে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা থানায় এসে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা থানার গ্লাস, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ কনষ্টেবল মো. ইয়াসিন, আবদুল কাইউম ও বাবুল মিয়া আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগান থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। আহত তিন পুলিশ কনষ্টেবলকে জেলা সদরে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে থানায় হামলার বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কবিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন নবীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় নবীকে না পেয়ে তার দুই ভাই সাইফুল ও বখতিয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যপারে জানার জন্যে থানায় যান তিনি। এক পর্যায়ে তাকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ লোকজন থানায় আসে। এ সময় পুলিশের হামলা ও গুলিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ জন নেতাকর্র্মী আহত হন। আহদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন(২০), মনির হোসেন((৪০), বখতিয়ার উদ্দিন(৩২), রিয়াজ উদ্দিন(৩৫), আবদুল ওয়াহেদ পরোয়ানা(২৯) ও জামাল হোসেনকে(৩০) নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ব্রাদার সেলিম জানানন, আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ এবং আবদুল ওয়াহেদ পরোয়ানা নামে অপর একজনের গলার আটারী কেটে গেছে। আবদুল ওয়াহেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপর আশরাফুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। একই সময় পাশ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ থানার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও পরে ফিরে যায় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। থানা ভাংচুরের কথা স্বীকার করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

  • আবু নাছের মঞ্জু

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.