লোকসংবাদ প্রতিবেদন
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) নোয়াখালী জেলা শাখার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমানকে (৬০) জবাই করে ও দুই হাতের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার মধ্যরাতে সুবর্ণচর উপজেলার আল-আমিন বাজার সড়কের মাথা নামক স্থানে ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। তবে; কে বা কারা এবং কেন এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এসব রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর আগে মফিজুর রহমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা যায়নি।
নিহত মফিজুর রহমান হাতিয়া উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের মৃত রহমত উল্যার ছেলে। তিনি গত কয়েক বছর থেকে স্বপরিবারে জেলা শহর মাইজদীর খন্দকার পাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। প্রগতী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের জেলা কো-অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, রাতে পথচারীরা সড়কের পাশে ক্ষেতের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চরজব্বার থানায় নিয়ে আসে। গলাকাটা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
নিহত মফিজুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, রোববার দুপুরের খাওয়া শেষে নাতীকে নিয়ে মাইজদী পৌরপার্কে ঘুরতে বের হন মফিজ। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে নাতীকে বাসার সামনের গেইটে নামিয়ে দিয়ে মিটিং আছে বলে চলে যান তিনি। এরপর রাত ৮টার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফানে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই ঘন্টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসছেন বলে নাতীকে জানান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফোন দেয়া হলে তাঁর নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্যা বাহার জানান, মফিজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে ভূমিহীনদের মাঝে চরের খাসজমি বন্দবস্ত দেয়া সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়া অন্যকারো সাথে তাঁর ব্যক্তিগত বিরোধ আছে বলে জানা নেই। এই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ ব্যপারে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুবর্ণচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিকেলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে তাঁর প্রথম জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এরপর সুবর্ণচর উপজেলার বয়ারচরের দিদার বাজার এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মফিজুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) নোয়াখালী জেলা শাখার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমানকে (৬০) জবাই করে ও দুই হাতের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার মধ্যরাতে সুবর্ণচর উপজেলার আল-আমিন বাজার সড়কের মাথা নামক স্থানে ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। তবে; কে বা কারা এবং কেন এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এসব রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর আগে মফিজুর রহমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা যায়নি।
নিহত মফিজুর রহমান হাতিয়া উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের মৃত রহমত উল্যার ছেলে। তিনি গত কয়েক বছর থেকে স্বপরিবারে জেলা শহর মাইজদীর খন্দকার পাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। প্রগতী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের জেলা কো-অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, রাতে পথচারীরা সড়কের পাশে ক্ষেতের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চরজব্বার থানায় নিয়ে আসে। গলাকাটা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
নিহত মফিজুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, রোববার দুপুরের খাওয়া শেষে নাতীকে নিয়ে মাইজদী পৌরপার্কে ঘুরতে বের হন মফিজ। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে নাতীকে বাসার সামনের গেইটে নামিয়ে দিয়ে মিটিং আছে বলে চলে যান তিনি। এরপর রাত ৮টার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফানে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই ঘন্টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসছেন বলে নাতীকে জানান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফোন দেয়া হলে তাঁর নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্যা বাহার জানান, মফিজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে ভূমিহীনদের মাঝে চরের খাসজমি বন্দবস্ত দেয়া সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়া অন্যকারো সাথে তাঁর ব্যক্তিগত বিরোধ আছে বলে জানা নেই। এই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ ব্যপারে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুবর্ণচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিকেলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে তাঁর প্রথম জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এরপর সুবর্ণচর উপজেলার বয়ারচরের দিদার বাজার এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মফিজুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়।